বিশ্ব জুড়ে পতনের ঢেউয়ে সেনসেক্স পড়ল ৩২৪ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার তা নামে ২৭,৬০৭.৮২ পয়েন্টে। ডলারে টাকার দামও নেমে গিয়েছে গত দু’বছরের মধ্যে সবচেয়ে নীচে। এক ডলার হয়েছে ৬৫.৫৪ টাকা।
মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরেই সুদ বাড়াতে পারে, এই ইঙ্গিতে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়া জুড়ে নামতে থাকে শেয়ার সূচক। ফেডারেল রিজার্ভ তাদের জুলাইয়ের বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রকাশ করে এ কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। মার্কিন সরকার জানিয়েছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ফলে সুদ ‘উপরে উঠতে পারে’।
আর্থিক মন্দার পর থেকেই ঋণের খরচ কমিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আমেরিকা সুদের হার প্রায় শূন্যের কাছে বেঁধে রেখেছে। তা এ বার চড়তে থাকলে শেয়ার বাজার পড়তে পারে, এই দুশ্চিন্তাতেই লগ্নিকারীরা হাতের শেয়ার বেচে দিতে শুরু করেন। আমেরিকা সুদ বাড়ালে ভারতের বাজার থেকেও বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি মুখ ফিরিয়ে নেবে, এই আশঙ্কা গ্রাস করে লগ্নিকারীদের। বাজারের আশঙ্কা, তখন তারা স্বদেশে লগ্নি করতেই উৎসাহিত হবে। ফলে তারা লগ্নি তুলে নেবে ভারত-সহ বিদেশের বাজার থেকে। সেনসেক্সের পতনে ইন্ধন জোগায় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ও ধাতুর দাম তলানিতে এসে ঠেকা।
বাজারের পতন টেনে নামায় টাকাকেও। শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিকারীরা ছিলেন বিক্রেতার ভূমিকায়। চিনা মুদ্রা ইউয়ানের পতনের জেরে আমদানিকারীরা ডলারের চাহিদা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রভাবেও পড়েছে টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy