বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, টাকা ও তেলের দাম, আর্থিক সংস্থার স্বাস্থ্য-সহ নানা বিষয় ঘিরে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। সে সবের জেরে অর্থনীতি কতটা ভুগবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন লগ্নিকারীরা। শেয়ার ধরে রাখলে লাভের মুখ দেখা যাবে কি না, আস্থার এই খুঁটিটাই খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। ফলে নামছে বাজার। যে কারণে বুধবার সেনসেক্স পড়েছে ৫৫০.৫১ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ৩৫,৯৭৫.৬৩ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।’’ তবে অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জেস মেম্বার্সের প্রাক্তন সভাপতি এস কে রাস্তোগী বলছেন, ‘‘বাজারের মৌলিক উপাদান মজবুত। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলির ফল ভাল হলে ঘুরে দাঁড়াবে সূচক।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, ডলারে টাকার পতন বা বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়ার অভিঘাত তো আছেই। হালে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে পরিকাঠামোয় ঋণদাতা আইএল অ্যান্ড এফএসে নগদের সমস্যাও। তার উপরে লগ্নিকারীরা সতর্ক শুক্রবার ঋণনীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ বাড়াতে পারে ভেবে।
এমনিতে সুদ বাড়লে বন্ড বাজার চাঙ্গা হতে পারে। আসতে পারে ডলার। তা টাকার দামের পতনে রাশ টানতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু তেমনই আবার সুদ বাড়লে শিল্পে ঋণের খরচ বা়ড়ে। লগ্নি ধাক্কা খায়। তাই তাকে সুনজরে দেখে না বাজার। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের মতে, সমস্যা বুঝে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি লগ্নি তুলছে। আরও বড় পতন রুখছে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy