গত সপ্তাহে প্রায় হাজার পয়েন্ট নেমে গিয়েছিল যে সেনসেক্স, সোমবার তা-ই এক লাফে বেড়ে গেল প্রায় ৭১৮ পয়েন্ট।
অবশেষে কিছুটা কাজ হল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াইয়ে। গত সপ্তাহে প্রায় হাজার পয়েন্ট নেমে গিয়েছিল যে সেনসেক্স, সোমবার তা-ই এক লাফে বেড়ে গেল প্রায় ৭১৮ পয়েন্ট।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, মূলধনী বাজারে নগদের আকাল কাটাতে খোলা বাজার থেকে তারা ৪০ হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণপত্র কিনবে। অর্থাৎ এর জেরে বাজারে ওই পরিমাণ টাকার জোগান বাড়বে। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই ঘোষণাই উৎসাহিত করেছে লগ্নিকারীদের। নগদের অভাবে অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যাঁরা। মূলত এতেই ৭১৮.০৯ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স। দাঁড়াল ৩৪,০৬৭.৪০ অঙ্কে। নিফ্টি ২২০.৮৫ উঠে হয় ১০,২৫০.৮৫।
অনেকেই বলছেন, একে তো পড়তি বাজারে বহু ভাল সংস্থার শেয়ার বেশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তার উপরে ভরসা জুগিয়েছে নগদ জোগানের সমস্যা মেটার আশা। ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনই শেয়ার কিনতে নেমে পড়েন লগ্নিকারীরা। উপরের দিকে উঠতে থাকে সূচক।
এ দিনের উত্থানে বড়় ভূমিকা নিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির শেয়ার দর বৃদ্ধি। যার মধ্যে অন্যতম ছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১১৯.৫৫ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে তারা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সার্বিক মুনাফা করেছে ১,২০৪.৬২ কোটি। আর ওই খবরেই ১১% বেড়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কটির দর।
যদিও ভারতের বাজারে এখনও বহাল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির বহর। এ দিনও তারা ২,২৩০ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে। গত দু’দিন সাকুল্যে ৩,৫৮৬.৬৬ কোটির। তাই বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলতে নারাজ অনেক বিশেষজ্ঞই। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ মনে করেন, ‘‘বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি যে হারে লগ্নি তুলে নিচ্ছে, তাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াই আগামী দিনে কতটা সমস্যা মেটাতে পারবে সন্দেহ আছে। আরও দিন চারেক না দেখে বাজারের গতি নিয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।’
এ দিন বিশ্ব বাজারও ছিল মোটের উপর চাঙ্গা। ইউরোপের প্রায় সব সূচকই ওঠে। এশিয়ায় অবশ্য বিভিন্ন দেশে গতি ছিল মিশ্র। অনেকের মতে, বিশ্ব বাজারে ‘তুলনায় শান্তি’ও কিছুটা নিশ্চিন্ত করেছে সূচককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy