—প্রতীকী ছবি।
শেয়ারে বাজারে লগ্নিকারীদের মাথায় হাত। সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ল সেনসেক্স। ১.৪১ শতাংশ কমেছে নিফটিও। ফলে ২৬ হাজারের নীচে চলে এসেছে এই শেয়ার সূচক। এ দিন বাজার রক্তাক্ত হওয়ায় প্রায় ২.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির মূলধন কমেছে আনুমানিক ৪৫০ লক্ষ কোটি টাকা।
পুজোর মুখে শেয়ারের লেখচিত্র এ ভাবে নেমে যাওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। গত সপ্তাহেই চড়চড়িয়ে বেড়েছিল সেনসেক্স ও নিফটি। ফলে বিনিয়োগের অঙ্ক বাড়িয়ে দেন খুচরো লগ্নিকারীরা। তবে শেয়ারের উচ্চ মূল্যায়ণ নিয়ে তাঁদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাবে শেয়ারের দামে পতন দেখা গিয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিককালে চিনের কিছু পদক্ষেপ বিদেশি লগ্নিকারীদের আকৃষ্ট করেছে। গত শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের ঘরোয়া বাজারে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এ দিন বাজার খোলার পরেই তার প্রভাব গিয়ে পড়ে সেনসেক্স ও নিফটির উপর। এ ছাড়া পশ্চিম এশিয়ায় ইজ়রায়েল-হিজ়বুল্লার মধ্যে চলা সংঘর্ষও শেয়ার বাজারের পতনের কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এ দিন বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় ৮৪,২৯৯.৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেনসেক্স। অর্থাৎ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচক নেমেছে ১,২৭২.০৭ পয়েন্ট। এতে ১.৪৯ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে ২৫,৮১০.৮৫ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় নিফটির গ্রাফ। অর্থাৎ ৩৬৮.১০ পয়েন্ট পড়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচক।
শেয়ারের এই পতনের দিনেও ভাল মুনাফা দিয়েছে জেএসডব্লু স্টিল। আর সবচেয়ে দর পড়েছে হিরো মোটোকর্পের। নিফটি ধাতুর সেক্টরের লেখচিত্রে বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আর সার্বিক ভাবে গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলির শেয়ারের দর পড়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy