রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
তবে কি আর্থিক সঙ্কল্প ও আমানত বিমা (এফআরডিআই) বিল ফের নিয়ে আসতে জমি তৈরির চেষ্টা? নাকি সমস্ত ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ একত্রিত করে তা শুধু তার জন্যই তৈরি একটি ব্যাঙ্কের (খারাপ ব্যাঙ্ক বা ব্যাড ব্যাঙ্ক) খাতায় ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা? রবিবার মূলত এই প্রশ্নই বার বার শোনা গেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মন্তব্যকে ঘিরে।
শনিবার গভর্নর বলেছিলেন, সমস্যায় পড়া ব্যাঙ্ক-সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য রেজ়লিউশন সংস্থা থাকা জরুরি। যেখানে নাভিশ্বাস ওঠা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার চুলচেরা বিচার করা হবে। সেই অনুযায়ী, হয় তাকে ফের চাঙ্গার চেষ্টা করা হবে। আর নয়তো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার ভবিষ্যতের বিষয়ে। অনেকটা অন্যান্য সংস্থার ক্ষেত্রে দেউলিয়া বিধিতে যেমন হয়।
শক্তিকান্তের যুক্তি, কোনও ব্যাঙ্ক আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়লে, সাধারণত দেশে তাকে বাঁচাতে মেশানো হয় অন্য কোনও বড় ও আর্থিক ভাবে পোক্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে। তাতে হয়তো ব্যাঙ্ককর্মীদের চাকরি বাঁচে। সুরক্ষিত থাকে তার গ্রাহকদের আমানত। কিন্তু তেমনই তার মাসুল গুনতে হয় বড় ব্যাঙ্কটিকে। কিছুটা হলেও তা দুর্বল হয় অনেক ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ইঙ্গিত, সেই কারণেই রেজ়লিউশন জরুরি।
২০১৭ সালের অগস্টে মূলত এই প্রস্তাবকে সামনে রেখেই সংসদে এফআরডিআই বিল পেশ করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু সেখানে বিপদে পড়া ব্যাঙ্ককে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে গ্রাহকের আমানত ব্যবহার করার কথা থাকায় তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে তারা। সেই বিল পরে ফিরিয়ে নেয়। এখন দাস ফের রেজ়লিউশনের কথা বলায় অনেকের প্রশ্ন, তবে কি ফের ওই বিল আসতে পারে সংসদে? অন্তত তেমন কথা কি প্রাথমিক ভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে কেন্দ্র? নাকি ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রকের কর্ণধার হিসেবে ওই কথা দাসের ব্যক্তিগত অভিমত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy