Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চাহিদা মেটাতে কি প্লাস্টিকের বস্তা?

কৃষি প্রধান রাজ্যগুলি খাদ্যবণ্টন মন্ত্রককে যা জানিয়েছিল, তাতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৯ লক্ষ বেলের মতো চটের বস্তার চাহিদা ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৫৬
Share: Save:

চাহিদা মতো চটের বস্তার জোগান না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই ঘাটতি মেটাতে এ বছর রবি মরসুমে খাদ্যশস্য রাখার জন্য চটের পাশাপাশি প্লাস্টিকের বস্তা কেনার কথাও কেন্দ্র ভাবছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চটশিল্প মহল। সূত্রের খবর, দেশের চটকলগুলির উৎপাদন ও জোগানের অবস্থা দেখে কেন্দ্র মনে করছে, ৩ লক্ষ বেলের (১ বেলের অর্থ ১৮০ কেজি) মতো চটের বস্তার ঘাটতি হতে পারে। যে কারণে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের এক বৈঠকে প্লাস্টিকের বস্তা নেওয়ার ব্যাপারে অনেক রাজ্যই সহমত প্রকাশ করেছে।

কৃষি প্রধান রাজ্যগুলি খাদ্যবণ্টন মন্ত্রককে যা জানিয়েছিল, তাতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৯ লক্ষ বেলের মতো চটের বস্তার চাহিদা ছিল। যার মধ্যে ৫ লক্ষের কিছু বেশি বস্তা চটকলগুলি উৎপাদন করে দিতে পারবে বলে এ মাসের গোড়ায় মন্ত্রকের কর্তারা জানতে পারেন।

পরবর্তীকালে চটকলগুলি মন্ত্রককে জানায়, আরও দেড় লক্ষ বেল বস্তা তারা উৎপাদন করে দিতে পারবে। আরও বাড়ানোর চেষ্টা হবে উৎপাদন। কিন্তু তাতেও ঘাটতি থেকে যাবে বলে মন্ত্রক নানা সূত্রে জানতে পেরেছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের অনেক চটকলেই বস্তার উৎপাদন বিশেষ বাড়েনি। আবার বেশ কিছু চটকল বন্ধও রয়েছে। ফলে ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্লাস্টিকের বস্তা কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে রাজ্যগুলির সর্বশেষ চাহিদা জেনে বাজারে দরপত্র চাওয়া হতে পারে।

দেশের আইন অনুযায়ী, খাদ্যশস্য রাখার ক্ষেত্রে ৯০% চটের বস্তা ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক। চিনির ক্ষেত্রে তা ২০%। চটের বস্তা কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণত বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। তবে ঘাটতি মেটাতে অনেক সময়ই কেন্দ্রকে এখন চটের বদলে প্লাস্টিকের বস্তা কিনতে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jute Product Plastic Industry Plastic Bag
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE