Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Sikkim

পর্যটন চালু করবে সিকিম, শর্ত ঘিরে উদ্বেগ রাজ্যে 

লকডাউনের জন্য সিকিমে বাইরে থেকে পর্যটক যাওয়া আপাতত বন্ধ।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৪
Share: Save:

অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে পর্যটন চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে সিকিম। প্রয়োজনীয় সতর্কতা বিধি মেনে সেই প্রক্রিয়া শুরুর জন্য তৈরি হয়েছে খসড়া নীতি। কিন্তু সেই নীতি নিয়েই প্রবল সংশয় তৈরি হয়েছে পর্যটন শিল্পের একাংশের মধ্যে। তাদের বক্তব্য, ওই খসড়ায় যে সব শর্তের প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে সিকিমের বাইরের, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন সংস্থাগুলিকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে ব্যবসা হারানোর আশঙ্কা থাকছে গাড়ি ব্যবসায় যুক্ত উত্তরবঙ্গের পর্যটন সংস্থাগুলির। সে কারণে ওই নীতি কার্যকরের আগে তা পুনর্বিবেচনার জন্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাঙের কাছে আর্জি জানিয়েছে পর্যটন শিল্পের দুই জাতীয় সংগঠন আয়াটো এবং এডিটিওআই।

লকডাউনের জন্য সিকিমে বাইরে থেকে পর্যটক যাওয়া আপাতত বন্ধ। কিন্তু সে রাজ্যের কর্মসংস্থানের ১৫ শতাংশের সূত্রই হল পর্যটন। তাই উপযুক্ত সতর্কতা বিধি মেনে অক্টোবর থেকে সীমিত ভাবেই পর্যটকদের জন্য দরজা খুলতে চায় তারা। কিন্তু আয়াটোর প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার এবং এডিটিওআইয়ের প্রেসিডেন্ট পি পি খন্নার বক্তব্য, খসড়া নীতিতে দৈনিক ২৫০০ ঘর বা ৫০০০ জনের ভাড়ার যে শর্ত রয়েছে, তাতে পর্যটকদের একাংশকে হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে। কেন্দ্রীয় ভাবে এই তথ্য মেনে চলাও সহজ নয়। খসড়া নীতিতে অবশ্য গোটা বিষয়টির নজরদারির কথা বলা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অন্য রাজ্যের গাড়ি সিকিমে প্রবেশেও আপাতত নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব রয়েছে খসড়ায়। ওই দুই সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ারম্যান দেবজিৎ দত্ত জানান, আগে বাইরের গাড়িতে করে সিকিমে পর্যটক নামানো বা ফিরিয়ে আনা যেত। কিন্তু তা নিষিদ্ধ করা হলে এ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের ব্যবসা মার খাবে। অথচ সিকিমে পর্যটনের সিংহভাগ উৎসই হল এ রাজ্যের পর্যটন সংস্থাগুলি। সব কিছু খতিয়ে দেখে তাই খসড়া নীতি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE