Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
India Lockdown

রোজকার খরচ মিলবে এতে? সংশয়ী একাংশ

এসবিআই গোষ্ঠীর প্রধান অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি রায় বলছেন, পুঁজির সমস্যার জন্যই ঋণের অনুৎপাদক সম্পদ হওয়ার সময়সীমা বাড়া উচিত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪০
Share: Save:

করোনা রুখতে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা মানলেও, থমকে থাকা ব্যবসার ধাক্কা সামলে ভবিষ্যতে বাঁচার রসদ খুঁজছে শিল্প। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দ্বিতীয় দফার দাওয়াই এল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যেখানে ব্যাঙ্কের ঋণ দেওয়ার পথ চওড়া করার সঙ্গে জোর দেওয়া হল ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি), ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি ও আবাসনের মতো ক্ষেত্রে মূলধন জোগানোয়। এতে খুশি শিল্পের একাংশ। কিন্তু অনেকের দাবি, যথেষ্ট নয় পদক্ষেপ। তাদের প্রশ্ন ছোট শিল্পের রোজকার ব্যবসা চালানোর জ্বালানি মিলবে এতে? চাহিদা না-বাড়লে ঋণ কেন নেবে সংস্থাগুলি? ঘোষণার সুফল ছোট শিল্প বা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার হাতে আদৌ পৌঁছবে তো?

ছোট শিল্পের সংগঠন ফিসমে বা বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের দাবি, এর আগে শীর্ষ ব্যাঙ্কের রেপো রেটে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের সুফল মূলত পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও বড় কর্পোরেট। এ বারও তা হবে না তো? তাদের অভিযোগ, ছোট শিল্পকে পুঁজির নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ফিসমের অনিল ভরদ্বাজের মত, তাদের কার্যকরী মূলধন জোগাতে সিডবি-কে নির্দেশ দিতে হত। ফিকির প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা রেড্ডিরও আর্জি, ব্যাঙ্কগুলির বাড়তি কার্যকরী মূলধন জোগানো বাধ্যতামূলক করা হোক। এসবিআই গোষ্ঠীর প্রধান অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি রায় বলছেন, পুঁজির সমস্যার জন্যই ঋণের অনুৎপাদক সম্পদ হওয়ার সময়সীমা বাড়া উচিত।

যদিও বণিকসভা সিআইআই, ফিকি, অ্যাসোচ্যাম, আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাই, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সর্ভিসেসের চেয়ারম্যান কূলদীপ মাইতির আশা নগদ সমস্যার সুরাহা হবে। এনবিএফসি ম্যাগমা ফিনকর্পের সিএফও কৈলাশ বাহেতি বলছেন, “আগের ১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের ঘোষণায় শর্ত ছিল, তা শুধু ‘AAA’ রেটিংয়ের সংস্থা পাবে। এ বার ২৫,০০০ কোটি বড় ও বাকিটা ছোট এনবিএফসিকে দেওয়ার কথা বলায় লাভ হবে।’’ তবে শ্রেয়ী ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিনান্স চেয়ারম্যান হেমন্ত কানোরিয়ার আক্ষেপ, ‘‘এনবিএফসি থেকে নেওয়া বহু ঋণ ঢেলে সাজা জরুরি ছিল।’’

আশার আলো
• করোনা-আক্রমণে বাকি বিশ্বের মতো ভারতের অর্থনীতি জোর ধাক্কা খাবে ঠিকই। কিন্তু তবু তা থাকবে সেই হাতে গোনা দেশের তালিকায়, যেখানে বৃদ্ধির হার থাকবে শূন্যের উপরে (১.৯%)। ওই হার জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি।
• করোনা-সঙ্কট মেটার পরে দ্রুত ছন্দে ফিরতে পারে অর্থনীতি। ২০২১-২২
সালে সম্ভাব্য বৃদ্ধি ৭.৪%।
• বিপুল চাল, গম দেশে মজুত। ভাল হওয়ার ইঙ্গিত খরিফ চাষও।
• বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার মজবুত (৪৭,৬৫০ কোটি ডলার)। প্রায় এক বছরের আমদানি খরচ মেটানোর পক্ষে তা যথেষ্ট।

আশার আলো

• করোনা-আক্রমণে বাকি বিশ্বের মতো ভারতের অর্থনীতি জোর ধাক্কা খাবে ঠিকই। কিন্তু তবু তা থাকবে সেই হাতে গোনা দেশের তালিকায়, যেখানে বৃদ্ধির হার থাকবে শূন্যের উপরে (১.৯%)। ওই হার জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি।
• করোনা-সঙ্কট মেটার পরে দ্রুত ছন্দে ফিরতে পারে অর্থনীতি। ২০২১-২২ সালে সম্ভাব্য বৃদ্ধি ৭.৪%।
• বিপুল চাল, গম দেশে মজুত। ভাল হওয়ার ইঙ্গিত খরিফ চাষও।
• বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার মজবুত (৪৭,৬৫০ কোটি ডলার)। প্রায় এক বছরের আমদানি খরচ মেটানোর পক্ষে তা যথেষ্ট।

চিন্তার কথা

• করোনার ছোবলের আগে ফেব্রুয়ারিতে শিল্পবৃদ্ধির হার ছিল ৭ মাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু লকডাউনে প্রবল সঙ্কটের মুখে গাড়ি, বিদ্যুৎ উৎপাদন সমেত অধিকাংশ শিল্প।
• মার্চে রফতানি সরাসরি কমেছে ৩৪.৬%।
• সার্বিক ভাবেও প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতি।

• করোনার ছোবলের আগে ফেব্রুয়ারিতে শিল্পবৃদ্ধির হার ছিল ৭ মাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু লকডাউনে প্রবল সঙ্কটের মুখে গাড়ি, বিদ্যুৎ উৎপাদন সমেত অধিকাংশ শিল্প।
• মার্চে রফতানি সরাসরি কমেছে ৩৪.৬%।
• সার্বিক ভাবেও প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India Lockdown Coronavirus RBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE