শুল্ক যুদ্ধের আবহে দাঁড়িয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠান ও উপদেষ্টা সংস্থার পথে হেঁটে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করল এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। তারা জানিয়েছে, অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার ২০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৬.৩% করা হয়েছে। এর আগে মার্চে তা ৬.৭% থেকে কমিয়ে ৬.৫% করেছিল মূল্যায়ন সংস্থাটি। তবে এসঅ্যান্ডপি অর্থনীতি নিয়ে খারাপ বার্তা দিলেও, এইচএসবিসি ইন্ডিয়া-র উৎপাদন সূচক পিএমআই এপ্রিলে সামান্য বেড়ে ৫৮.২-এ পৌঁছেছে। যা গত ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি। মূলত ভাল বরাতের হাত ধরেই উৎপাদন শিল্প এপ্রিলে ভাল করেছে বলে মনে করছে তারা। এই সূচক ৫০-এর বেশি থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি, কম হলে সঙ্কোচন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আমেরিকার বাণিজ্য নীতিতে সারা বিশ্বের অর্থনীতি অনিশ্চয়তায় ভুগছে। জটিলতা দ্রুত না কাটলে আমেরিকা-সহ বেশ কিছু দেশের মন্দার খাদে পড়াও অসম্ভব নয়। বুধবার জানা গিয়েছে জানুয়ারি-মার্চে আমেরিকার জিডিপি সরাসরি কমে গিয়েছে ০.৩%। এই পরিস্থিতিত বিশ্ব অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা থেকেই ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
রিপোর্টে এসঅ্যান্ডপি বলেছে, বাণিজ্যে দেওয়াল তুলে কোনও পক্ষ জেতে না। শুল্ক যুদ্ধে ভারতে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা বহাল। দীর্ঘ মেয়াদে কী হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তাই সব মিলিয়ে কমানো হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে ২০২৫ সালের শেষে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর আরও পড়বে বলে মনে করে তারা। সে ক্ষেত্রে ডলার হতে পারে ৮৮ টাকা।
তবে সম্প্রতি প্রকাশিত শিল্পবৃদ্ধির তথ্যে উৎপাদন শিল্পে ধাক্কার ছবি উঠে এসেছিল (বৃদ্ধি ৩%)। এপ্রিলে তা ভাল ফল করার ইঙ্গিত দিচ্ছে পিএমআই। বিশেষত শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিদেশ থেকে বরাত ১৪ বছরে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধিই আশা জোগাচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)