E-Paper

২৪১৩ লক্ষ ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি, রাজ্যে বাড়তে পারে বিদ্যুতের খরচ

এডিবি বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে, তাঁদের জন্য ভরসাযোগ্য, ভাল মানের এবং পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওই ঋণ অনুমোদিত হল।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৩০

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন ব্যবস্থার উন্নতিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি) ২৪১৩ লক্ষ ডলার ঋণ অনুমোদন করল। কিন্তু এর ফলে রাজ্য সরকারের উপরে বিদ্যুতের মাসুল বাড়ানোর জন্য চাপ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা। কারণ ২০১১-এ ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বণ্টন সংস্থাকে বিদ্যুতের মাসুল বাড়াতে দেয়নি। সংস্থাটির কোষাগারের করুণ দশা সত্ত্বেও এমন সুপারিশ করেনি রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনও।

এডিবি বিবৃতিতে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে, তাঁদের জন্য ভরসাযোগ্য, ভাল মানের এবং পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওই ঋণ অনুমোদিত হল। তাদের প্রিন্সিপাল এনার্জি স্পেশালিস্ট রোকা সান্ডার বক্তব্য, রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য ভরসাযোগ্য বিদ্যুৎ জোগান ব্যবস্থা জরুরি। সরকারের বিদ্যুৎ বণ্টন উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেছে এডিবি-র প্রকল্প। লক্ষ্য, বণ্টন সংস্থার দক্ষতা বাড়ানো।

এডিবি-র নথি বলছে, ২০২২-এই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ বণ্টনের হাল ফেরাতে প্রকল্প এনেছিল। তার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে এই ঋণ। তাতে ২০২৬-এর মধ্যে বিদ্যুৎ জোগানের খরচ ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ফারাক মেটানোর কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তাদের বক্তব্য, মাসুল না বাড়ায় বিরাট হয়েছে বণ্টন সংস্থার আয়-ব্যয়ের ফারাক। ওই প্রকল্পে বছরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ১৩০-এ নামানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যদিও কলকাতা ও জেলা শহর বাদ দিলে অন্যত্র প্রায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রামের পর গ্রাম অন্ধকারে ডুবে যায়। আর এক লক্ষ্য, ২০২৬-এর মধ্যে বিদ্যুৎ পরিবহণে ক্ষতির ১২.১১ শতাংশে নামানো। এখন প্রায় ২৭% পর্যন্ত বিদ্যুৎ নষ্ট হয়। যার মূল কারণ বিদ্যুৎ চুরি এবং সে বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের নরম মনোভাব।

এডিবি-র বার্তা, বণ্টন সংস্থার বিদ্যুৎ মাসুল যুক্তিসঙ্গত করা হবে, আর্থিক পরিচালনার ক্ষেত্রে করা হবে ক্ষমতায়ন, পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতেও জোর দেওয়া হবে। তাদের অন্যান্য বার্তা—

  • সাতটি জেলার ৮৯.৬ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বণ্টন উন্নত করা হবে।
  • সরানো হবে লো-টেনসন ওভারহেড তার এবং মাথার উপরে গিঁট বেঁধে রাখা তার।
  • কৃষি ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে পৃথক বিদ্যুৎ ফিডার তৈরি হবে।
  • তৈরি হবে বিদ্যুতের মান, জোগানে নজরদারি, বণ্টন সংস্থার আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য সংযুক্ত তথ্য ও পরিচালনা ব্যবস্থা।

বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থার কর্তাদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কি ঋণের টাকায় এই সব পরিকাঠামো তৈরি করেও সংস্থার আর্থিক হাল ফেরানো যাবে?

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Price Hike electricity

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy