পেট্রলে ইথানলের অনুপাত বাড়াতে বাড়াতে ২০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে ভারত। সময়সীমার পাঁচ বছর আগে। জ্বালানি আমদানির খরচ কমানোই যার লক্ষ্য। তবে এই প্রেক্ষিতে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। মিশ্রিত এই জ্বালানির ক্ষমতা কি শুদ্ধ পেট্রলের চেয়ে কম? গাড়ির ইঞ্জিন কি তাতে একই রকম শক্তি উৎপাদন করে? গাড়ি শিল্পের একাংশের দাবি, এতে ইঞ্জিনের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ২%-৫% কমতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে আয়ু কমতে পারে কিছু কিছু যন্ত্রাংশের। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে গাড়ির ধরনের উপরে।
পেট্রলে ইথানলের উপস্থিতি নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আলোচনা চলছে মিশ্রিত জ্বালানির শক্তি উৎপাদন নিয়ে। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলছেন, পেট্রলে ইথানল মেশালে কি পণ্যটির উৎপাদন খরচ কমে? সে ক্ষেত্রে দামের সুবিধা ক্রেতাকে দেওয়া হয় না কেন? এ মাসের গোড়ায় তেল মন্ত্রক দাবি করেছিল, ইথানল মিশ্রিত জ্বালানির ফলে ইঞ্জিনের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ‘প্রবল ভাবে’ কমে যায়, এমন প্রচার ভ্রান্ত। কেন্দ্রের এই বিবৃতিতে উল্টে বিভ্রান্তি কিছুটা বেড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কত দ্রুত কমে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাড়ি শিল্পের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরনো যে সমস্ত গাড়ি ২০% ইথানলের (ই২০) উপযুক্ত নয়, দীর্ঘমেয়াদে সেগুলির গ্যাসকেট, জ্বালানির হোস এবং পাইপের ক্ষয় হতে পারে। মারুতি সুজ়ুকি এবং হুন্ডাই এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। টাটা মোটরস জানিয়েছে, তাদের গাড়ি ই২০ জ্বালানির উপযুক্ত। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাড়ি শিল্প বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘গাড়ির শ্রেণিভেদে মাইলেজ কমতে পারে ২%-৫%। ইথানলের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা কম হওয়ার এর কারণ।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)