পর্যটনের পরে এ বার পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকেও (লজিস্টিক্স) শিল্পের মর্যাদা দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব ছাড়পত্র পেয়েছে বলে সূত্রের দাবি। একই সঙ্গে, তাজপুর-ডানকুনি-রঘুনাথপুর আর্থিক করিডরের আশেপাশে শিল্প স্থাপনের উদ্দেশ্যে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের হাতে প্রায় ২০০ একর জমি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সূত্রের বক্তব্য, এখন অনলাইন কেনাকাটার পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। সে কারণে পণ্য পরিবহণের গোটা ব্যবস্থাকে শিল্পের তকমা দেওয়া হল। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, অ্যামাজ়ন-ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা যেমন কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে, তেমনই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও। তাই লজিস্টিক্স পার্কের মতো পরিকাঠামোর চাহিদাও বাড়ছে সমান্তরালে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন পার্কের অর্থ—সুবিধাজনক কোনও এলাকায় তৈরি এমন কেন্দ্র, যেখানে পণ্যের আনাগোনা, মজুত, সেগুলিকে মোড়কবন্দি করা এবং বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সাধারণত, এমন পরিকাঠামো প্রধান সড়ক, রেলপথ বা বন্দর এলাকার আশেপাশে গড়ে ওঠে। আধিকারিকদের একাংশের মতে, এই ক্ষেত্র শিল্পের মর্যাদা পাওয়ায় এতে বিনিয়োগ ও কাজের সুযোগও বাড়বে।
অন্য দিকে রাজ্য সরকারের সূত্র জানিয়েছে, এ দিন পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থানা এলাকায় মোট ১৯৩.২৯ একর লিজ় জমি রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে শিল্প উন্নয়নের জন্য ফ্রি-হোল্ড করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের মতে, তাজপুর-ডানকুনি-রঘুনাথপুর আর্থিক করিডরের আশেপাশে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ কার্যকর হবে। তবে এই পরিমাণ জমিতে বড় শিল্প সম্ভব নয়। ফলে মনে করা হচ্ছে, ছোট শিল্পকেই সম্ভবত নজরে রাখা হচ্ছে। এ দিন বারুইপুর টাউনশিপের ‘উত্তম সিটিতে’ দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির প্রস্তাব পাশ করেছে মন্ত্রিসভা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)