Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাগানে বিকল্প আয়ের পথ চওড়া

বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভা ‘টি ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যালায়েড বিজনেস পলিসি-২০১৯’ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে টি বোর্ড ও চা শিল্প।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫১
Share: Save:

উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিকে মোট জমির ১৫% বা সর্বোচ্চ ১৫০ একরে অন্য ব্যবসা করার ছাড়পত্র দিল রাজ্য। লক্ষ্য, চা তৈরির পাশাপাশি বিকল্প আয়ের সন্ধান দেওয়া। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভা ‘টি ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যালায়েড বিজনেস পলিসি-২০১৯’ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে টি বোর্ড ও চা শিল্প।

তবে থাকছে শর্তও। যেমন, চা চাষের এলাকা কমানো যাবে না। ছাঁটাই করা যাবে না কোনও শ্রমিককে। বিকল্প হিসেবে পর্যটন, বৃক্ষরোপণ, পশুপালন, জলবিদ্যুৎ, অপ্রচলিত শক্তি, সামাজিক পরিকাঠামো ও পরিষেবার মতো ব্যবসা করতে হবে। ওই উদ্বৃত্ত জমির ৪০ শতাংশে পরিবেশের ভারসাম্য রেখে রিসর্ট, ওয়েলনেস সেন্টার, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল ও নার্সিং কলেজ, হাসপাতাল, সাংস্কৃতিক-বিনোদন কেন্দ্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্যাকেজিং কেন্দ্র তৈরি করা যাবে।

রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাগানের সংস্কৃতি-পরিবেশ ও শ্রমিক স্বার্থ বজায় রেখে নীতি তৈরি হয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। নির্দিষ্ট কমিটি প্রস্তাব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের নেতৃত্বে হবে সেই কমিটি। টি বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণকুমার রায় বলেন, ‘‘লগ্নি এলে চা শিল্পের আর্থিক উন্নতি হবে। খুব ভাল সিদ্ধান্ত।’’ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বিবেক গোয়েন্‌কারও দাবি, ‘‘আগে ৫% উদ্বৃত্ত জমির বিকল্প ব্যবহার হত। এখন তা বাড়ছে। বাগানগুলির আয় বাড়ার পথ সহজ হবে। যা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলা শিল্পের পক্ষে জরুরি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tea Garden State Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE