ছবি: সংগৃহীত।
ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির কোপ পড়েছে জিএসটি আদায়েও। সেপ্টেম্বরে সেই খাতে রাজকোষে যা ঢুকেছে, সেটা ১৯ মাসে সবচেয়ে কম। তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর। রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে সুরাহার পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, জিএসটি সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য নানা বিষয় খতিয়ে দেখতে তৈরি হয়েছে ১২ সদস্যের একটি কমিটি। তাতে কেন্দ্রের পাঁচ জন ও পাঁচ রাজ্যের জিএসটি পরিষদের কমিশনারদের রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এমনিতেই অর্থনীতি চাঙ্গা করার চেষ্টায় কেন্দ্রের নানা পদক্ষেপে বাড়ছে খরচ। তার উপরে জিএসটি থেকে আয় কমলে যে রাজকোষ ঘাটতি বেলাগাম হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা বিলক্ষণ বুঝছে সরকার। তাই তড়িঘড়ি আদায় বাড়াতে মাঠে নেমেছে তারা।
সূত্রের দাবি, মূলত গাড়ি, সিমেন্ট ও ইস্পাত শিল্পের শ্লথ গতির আঁচ পড়েছে কর সংগ্রহে। সেপ্টেম্বরে তা নেমেছে ৯১,৯১৬ কোটি টাকায়। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বৈঠক করেন রাজস্ব সচিবের সঙ্গে।
তৈরি কমিটি
• সদস্য সংখ্যা ১২।
• রয়েছেন কেন্দ্রের পাঁচ জন ও পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র থেকে জিএসটি পরিষদের কমিশনারেরা।
• তৈরির পরে দু’সপ্তাহের মধ্যে পেশ হওয়ার
কথা রিপোর্ট।
কাজের খতিয়ান
• কেন কর আদায় কমছে, তা খতিয়ে দেখা।
• কর ফাঁকি রুখতে ও আদায় বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া।
• রাজ্যগুলি কী ভাবে
এতে আরও সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে, তার সুপারিশ পেশ।
রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন ক্যাবিনেট সচিবও। করের ভিত্তি বৃদ্ধি, কর ফাঁকি রোখা, কাঁচামালে মেটানো কর ফেরতের সুবিধার অপব্যবহার আটকানো, আরও কড়া নজরদারি ও পরিসংখ্যানের আরও সুনির্দিষ্ট প্রয়োগ মারফত কী করে আদায় বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা হয়। সূত্রের দাবি, তার পরেই তৈরি হয় কমিটি। চাইলে সব রাজ্যই তাদের সাহায্য করতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy