পাঁচ বছর পর সুদের হার হ্রাস করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। এর প্রভাবে শেয়ার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে আশাবাদী ছিলেন লগ্নিকারীরা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। উপরের দিকে যাওয়ার বদলে নিম্নমুখী হয়েছে সূচক। ফলে ফেব্রুয়ারির শেষ লেনদেনের দিনে লোকসানের মুখ দেখলেন বিনিয়োগকারীরা।
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) খোলে ৭৮,১১৯.৬০ পয়েন্টে। কিন্তু দিন শেষে ৭৭,৮৬০.১৯ পয়েন্টে পৌঁছে থেমে যায় সেনসেক্স। অর্থাৎ বিএসইতে ১৯৭.৯৭ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। শতাংশের নিরিখে সেটা ০.২৫। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮,৩৫৬.৯৮ পয়েন্টে উঠেছিল সেনসেক্স।
অন্য দিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক নিফটি-৫০ এদিন তার দৌড় থামিয়েছে ২৩,৫৫৯.৯৫ পয়েন্টে। এতে ৪৩.৪০ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে, যা ০.১৮ শতাংশ। শুক্রবার সকালে এনএসই খুলেছিল ২৩,৬৪৯.৫০ পয়েন্টে। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩,৬৯৪.৫০ পয়েন্টে ওঠে সূচক।
এ দিন ১,৪৬৮টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর কমেছে ২,২৯৩টি স্টকের। এ ছাড়া অপরিবর্তিত থেকেছে ১৩৯টি শেয়ার। নিফটিতে মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির সূচক নেমেছে ০.৩ শতাংশ।
এনএসসিতে সংকর-ধাতুর সংস্থাগুলির শেয়ারের দর ২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোগ্যপণ্য এবং গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানিগুলির স্টকের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে যথাক্রমে এক এবং ০.৭ শতাংশ। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, এফএমসিজি, গণমাধ্যম এবং তেল ও গ্যাস সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমেছে এক শতাংশ।
এ দিন নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে ওএনজিসি, আইটিসি, ব্রিটানিয়া, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং আদানি পোর্টসের লগ্নিকারীরা। আর মোটা টাকা লাভ করেছেন টাটা স্টিল, ভারতী এয়ারটেল, ট্রেন্ট, জেএসডব্লু স্টিল এবং হিন্দালকোর শেয়ারহোল্ডাররা।
শুক্রবার, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে ৬.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জেরে হ্রাস পাবে গাড়ি ও বা়ড়ি-সহ যাবতীয় ঋণে সুদের হার। কিন্তু এর প্রভাব বাজারের উপরে না পরার নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।