শর্তসাপেক্ষে কেন্দ্রের অনুমতি এসেছে ২৪ ঘণ্টা আগে। এ বার রাজ্যেরও ইঙ্গিত, চা বাগান খোলা নিয়ে সোমবার প্রশাসনিক স্তরে কথা হতে পারে। বাগান মালিকদের একাংশের মতে, এখনই কাজ শুরু হলে কিছু পরিমাণে ফার্স্ট ফ্লাশের পাতা তোলা সম্ভব। যত দেরি হবে, ততই এই চায়ের উৎপাদন ও ব্যবসা মার খাবে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউনে সর্বত্রই বন্ধ চা বাগান। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশে জানায়, বাগান খুললেও সেখানে কাজের দিনে যেন মোট শ্রমিকের অর্ধেক বা তার কম হাজির থাকেন। বাগান বন্ধের জন্য মরসুমের গোড়াতেই ধাক্কা খেয়েছে ফার্স্ট ফ্লাশ চায়ের উৎপাদন। রফতানি বাজারে যার অংশীদারি উল্লেখযোগ্য। চা শিল্পের দাবি, এখনও পর্যন্ত দিন আষ্টেক কাজের ক্ষতি হয়েছে।
দার্জিলিং চা বাগান মালিকদের সংগঠনের সদস্য কিশোরীলাল আগরওয়াল বলেন, “৪-৫ হাজার ফুট উপরের এলাকায় ঠান্ডা রয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে কাজ শুরু হলে এখনও ফার্স্ট ফ্লাশ বাঁচানো সম্ভব।” একই সুরে কনসাল্টেটিভ কমিটি অব প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অমিতাংশু চক্রবর্তীর দাবি, বাগান খুলতে দেরি হলে বড় বিপর্যয় হতে পারে। বিপুল ক্ষতির কথা জানান ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠনের কর্তা বিজয়গোপাল চক্রবর্তীও। তাঁর দাবি, বাগান খুললে অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি নিরাপদ দূরত্ব রেখে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম সময় শ্রমিকেরা কাজ করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy