Advertisement
E-Paper

নিরপেক্ষ নেট বিধিতে সায় কমিশনের

টেলিকম সচিব অরুণা সুন্দরারাজন জানান, নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের সুপারিশ মেনেই নেট নিরপেক্ষতার নীতিতে সায় দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০২:৫৭

নেট নিরপেক্ষতা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিতর্ক দানা বেঁধে আছে দেশ জুড়ে। নেট পথে হেঁটে সকলের দরজায় সমান পরিষেবা নাকি তুলনায় সস্তায় বাছাই কিছু সাইটের সুলুকসন্ধান— তর্ক তা নিয়েই। এই অবস্থায় বুধবার নিরপেক্ষ নেটের বিধিতেই সায় দিল টেলিকম কমিশন। অনুমোদন করল নতুন টেলিকম নীতিও।

টেলিকম সচিব অরুণা সুন্দরারাজন জানান, নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের সুপারিশ মেনেই নেট নিরপেক্ষতার নীতিতে সায় দেওয়া হয়েছে। যেখানে ট্রাই বলেছিল, ইন্টারনেট পরিষেবায় সব গ্রাহকের অধিকার সমান। কাউকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে বৈষম্য তৈরি করতে পারবে না সংস্থাগুলি। তবে ‘রিমোট সার্জারি’ বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ির মতো কিছু ক্ষেত্র এই নীতির বাইরে।

এ দিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘ডিজিটাল’ প্রযুক্তি নির্ভর পরিকাঠামো গড়ায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে নয়া টেলি নীতি। এক সরকারি কর্তা জানান, এ দিন কমিশন প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২.৫ লক্ষ ওয়াইফাই হটস্পট চালুর প্রস্তাবেও সায় দিয়েছে। চূড়ান্ত অনুমতি দেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। দুই সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানিয়েছে টেলি শিল্পের সংগঠন সিওএআই।

নেট নিরপেক্ষতা কী?

ইন্টারনেট সেই পথ, যা দিয়ে জোড়া যায় দুনিয়ার সব কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, মোবাইল। ওই পথে সব গ্রাহকের অধিকার সমান। কাউকে কোনও অংশ ব্যবহারে বাধা দেওয়া চলে না। তাই নেট বেয়ে যাতায়াত করা তথ্য ব্যবহারের জন্য টাকা লাগে, পথের জন্য নয়। এটিই নিরপেক্ষ নেট।

বিতর্ক কোথায়?

ধরা যাক, একটি সংস্থা নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবা তার গ্রাহকদের জন্য চিহ্নিত করল। বলল, শুধু সেগুলি তাদের কাছে নিলে মিলবে বাড়তি সুবিধা। তা সে দ্রুত গতির নেট হতে পারে বা কম মাসুলের (এমনকি নিখরচার) সুবিধা। সে ক্ষেত্রে নেটের রাস্তায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন সংস্থাটির গ্রাহকেরা। বাকিরা বঞ্চিত। বিতর্ক এখানেই।

Telecom Commission net neutrality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy