এক দিকে আর্থিক বৈষম্য কমানো। অন্য দিকে আর্থিক বৃদ্ধির স্বার্থে চাহিদা বাড়ানোর ব্যবস্থা। এই দুই লক্ষ্যে বাজেটে করছাড় দিয়ে মানুষের হাতে বাড়তি টাকা দিতে বলছে প্রায় সব মহলই। আর্থিক সমীক্ষায় বার্তা, কর্মীদের বেতন বাড়াতে এগিয়ে আসুক কর্পোরেট মহল। বেতন বৃদ্ধি হোক সংস্থাগুলির মুনাফার সমানুপাতিক হারে।
তবে, শিল্পকর্তাদের একাংশ যে কর্মীদের সপ্তাহে ৭০-৯০ ঘণ্টা কাজ করার কথা বলছে, তা খারিজ করেছে সমীক্ষা। বলেছে, ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ শরীরের পক্ষে খারাপ হতে পারে। দিনে ১২ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এতে ব্যাহত হতে পারে কাজ। ধাক্কা খেতে পারে বৃদ্ধির গতি। ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তি কর্মীদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের সওয়াল করেছিলেন। এলঅ্যান্ডটি-র সিএমডি এস এন সুব্রহ্মণ্যনের দাবি ছিল, সেই সময় হোক ৯০ ঘণ্টা।
সমীক্ষায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জিডিপি-র সাপেক্ষে নিফ্টি ৫০০ সূচকের অধীনে থাকা সংস্থাগুলির মুনাফা ছুঁয়েছে ৪.৮%। যা ১৫ বছরে সর্বাধিক। ৪০০০টি নথিভুক্ত সংস্থাকে নিয়ে তৈরি স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২৩-২৪ সালে কর্পোরেট মহলের আয় বেড়েছে ৬%, লাভ ২২.৩%। অথচ কর্মী বৃদ্ধির হার ১.৫%। তাঁদের বেতন খাতে খরচও তার আগের বছরের ১৭% থেকে নেমেছে ১৩ শতাংশে। এতে স্পষ্ট সংস্থার মুনাফা বাড়লেও, কর্মী নিয়োগ এবং বেতনে খরচ কমেছে। যা অর্থনীতির পক্ষে খারাপ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)