অগস্টে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার সামান্য বেড়ে হল ২.০৭%। যা জুলাইয়ে ১.৬১% ছিল। শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, মূলত আনাজ, মাছ, মাংস, তেল ও চর্বি, ডিম এবং ব্যক্তিগত পরিচর্যার পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলেই মূল্যসূচক মাথাচাড়া দিয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান সম্পর্কে একাধিক ব্যাখ্যা বার হয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। একটি অংশের বক্তব্য, উঁচু ভিতের সুবিধার উপরে দাঁড়িয়ে টানা ন’মাস এই হার নিম্নমুখী ছিল। সেই সুবিধা এ বার সরে যেতে শুরু করেছে। মূল্যবৃদ্ধির উপরে পড়তে শুরু করেছে তার প্রভাব। আগামী দিনে তা আরও কিছুটা মাথা তুলতে পারে। অনেকের বক্তব্য, সংখ্যার বিচারে গত মাসের মূল্যবৃদ্ধির হারও বেশ কম। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে তো বটেই। ফলে শীর্ষ ব্যাঙ্কের উদ্দেশে দ্রুত আরও এক দফা সুদ হ্রাসের দাবি উঠতে পারে শিল্পের তরফে। বিশেষ করে আমেরিকার অতিরিক্ত শুল্কের জেরে ধাক্কা খাওয়া রফতানি সংস্থাগুলির এই দাবি রয়েছে। আর একটি অংশের আবার বক্তব্য, খাদ্যপণ্যের দাম গত মরসুমের নিরিখে নিয়ন্ত্রিত মনে হতে পারে। কিন্তু মাসের হিসাবে দেখতে গেলে তা ক্রমাগত চড়ছে। আনাজপাতিতে হাত ছোঁয়ানোর জো নেই। অথচ পরিসংখ্যানের (-১৫.৯২%) দিকে তাকালে এই সমস্যা বোঝা অসম্ভব। যেমন, সামগ্রিক ভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ১০৭ বেসিস পয়েন্ট বাড়লেও তা এখনও রয়েছে শূন্যের ০.৬৯% নীচে। অর্থাৎ মূল্যহ্রাস। বাস্তবের সঙ্গে যার দূরত্ব অনেক। তবে তেল ও চর্বি (২১.২৪%), ফল (১১.৬৫%), ডিম (৩.১২%) এবং খাদ্যশস্যের (২.৭%) দাম চিন্তা বাড়াচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)