প্রতীকী ছবি।
যে ভাবে প্রতি দিন খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য জরুরি পণ্যের দামের ছেঁকায় পকেট পুড়ছে আমজনতার, তাতে এপ্রিলে মূল্যবৃদ্ধির হার যে আরও মাথা তুলবে সেই আশঙ্কা ছিলই। বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, তা ৭.৭৯% ছুঁয়ে আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে তা উঠেছিল ৮.৩৩ শতাংশে। হতাশা আরও বাড়িয়েছে খুঁড়িয়ে চলা শিল্প। এ দিনই প্রকাশিত সরকারি হিসাব অনুযায়ী, মার্চেও শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার আগের দু’মাসের মতো ২% পেরোতে পারেনি। তা আটকেছে ১.৯ শতাংশে। এর কারণ মূলত কল-কারখানায় মাত্র ০.৯% উৎপাদন বৃদ্ধি। যে ক্ষেত্র অর্থনীতিকে চাঙ্গা হওয়ার অন্যতম রসদ জোগায়। কর্মসংস্থানেরও বড় উৎস।
এ দিন সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশ, মূল্যবৃদ্ধি এতটা চড়া বিভিন্ন খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানির আগুন দামের জন্য। যার জন্য দায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, সঙ্কট যুঝতে সুদের হার আরও বাড়াবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরবিআই এবং তাদের করা পদক্ষেপগুলি মূল্যবৃদ্ধির চড়া থাকার মেয়াদকে কমিয়ে আনবে। এমনকি মন্ত্রকের দাবি, কেনাকাটার তথ্যে নাকি স্পষ্ট ভারতে বেশি আয়ের তুলনায় স্বল্প আয়ের মানুষদের উপরে কম প্রভাব ফেলেছে মূল্যবৃদ্ধির হার। যদিও বিরোধী-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রান্নার গ্যাস থেকে অতি সাধারণ খাদ্য বা জরুরি সামগ্রী, সব কিছুর খরচে অল্প রোজগেরে মানুষ বিপন্ন। সরকারের সেটা চোখে পড়ছে না বলেই সমস্যা বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মূল্যবৃদ্ধিকে আটকাতে সুদের হার বৃদ্ধি ছাড়া উপায় নেই। অথচ তাতে মুষড়ে পড়েছে শিল্প। ফলে তাদের এগোনোর গতি আরও শ্লথ হবে কিনা, সেটাই প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy