E-Paper

মূল্যবৃদ্ধি আট বছরে সর্বনিম্ন! খাতায়-কলমে দাম কমলেও বাজারে ছ্যাঁকা লাগছে কেন?

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার জুলাইয়ে শূন্যের নীচে ১.৭৬% নেমেছে। যার অর্থ মূল্যহ্রাস। কিন্তু সরকারের এই হিসাবে যতটা স্বস্তি, ততটাই অস্বস্তি বাস্তবের মাটিতে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৩০
বাজার করতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খাচ্ছেন ক্রেতা।

বাজার করতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খাচ্ছেন ক্রেতা। —প্রতীকী চিত্র।

গত মাসে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে এল ১.৫৫ শতাংশে। যা ২০১৭-র জুনের পরে আট বছরের মধ্যে সব থেকে কম। তবে মঙ্গলবার এই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান প্রকাশের পরে প্রশ্ন উঠেছে স্বস্তি শুধু মোদী সরকারের খাতায়-কলমে কেন? বাস্তবে যার অভাব টের পাচ্ছেন সকলেই। তাঁদের মতে, কেন্দ্রের খাতায় দাবি, আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের কমে যাওয়া দাম সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিকে এতটা নামিয়েছে। অথচ এই মুহূর্তে বাজার করতে গিয়ে হাতে ছেঁকা খাচ্ছেন ক্রেতা। সাধারণ মধ্যবিত্তকে টেনেটুনেই সংসার চালাতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘সরকারি হিসাবের সঙ্গে বাস্তবে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের মিল নেই। বিশেষত খাদ্যপণ্যের। কলকাতায় বেগুনের কেজি ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা। টোম্যাটোর দাম ৬০-৭০ টাকা। ভোজ্যতেল ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে। ইঞ্জিন তেলের এক কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ডিম, ডাল সব চড়া। বৃষ্টির জন্য দাম হালে আরও বেড়েছে।’’ একাংশের দাবি, শহরতলির বহু বাজারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাম কলকাতার থেকেও বেশি।

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার জুলাইয়ে শূন্যের নীচে ১.৭৬% নেমেছে। যার অর্থ মূল্যহ্রাস। কিন্তু সরকারের এই হিসাবে যতটা স্বস্তি, ততটাই অস্বস্তি বাস্তবের মাটিতে। কেন্দ্রের হিসাব জুলাইয়ের। তবে তখনও বাজারে আনাজ অতটা সস্তা দেখা যায়নি। আর এখন হাতই ঠেকানো যাচ্ছে না। আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের বক্তব্য, ‘‘বর্ষার জন্য আনাজ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম হালে অনেকটা বেড়েছে। তবু খুচরো মূল্যসূচক তলানিতে। আসলে অতিবৃষ্টির ফলে আগামী দিনে খাদ্যপণ্যের দাম আরও চড়তে পারে। কেন্দ্রের বিষয়টি ভেবে দেখা জরুরি। কারণ, ওই সূচকের ভিত্তিতেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Retail Price Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy