E-Paper

দেশে কমছে সাধ্যের আবাসন বিক্রি

অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজের প্রচলন বাড়ায় বেড়েছিল বড় বাড়ির চাহিদা। এ দিকে আয় ঘিরে অনিশ্চয়তা ও তার পরে চড়া মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে সুদ বৃদ্ধির জেরে টান পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পকেটে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪ ০৭:৪৫

—প্রতীকী চিত্র।

দামি আবাসনের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে কমছে কমদামি ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রি। আবাসন উপদেষ্টা প্রপইকুইটির তথ্য বলছে, কলকাতা-সহ আটটি শহরে সামগ্রিক ভাবে গত জানুয়ারি-মার্চে কমদামি বাড়ি (যাদের দর ৬০ লক্ষ টাকার কম) বিক্রি মাথা নামিয়েছে ৪%। তা দাঁড়িয়েছে ৬১,১১টিতে। গত বছরের এই সময়ে যা ছিল ৬৩,৭৮৭টি। শুধু এই তিন মাসই নয়। করোনার আগের তুলনায় বাড়লেও, সামগ্রিক ভাবে ২০২২ সাল (২,৫১,১৯৮টি) থেকে কম দামের ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরি কমে চলেছে বলে দাবি তাদের। গত বছর বিক্রি হয়েছে ২,৩৫,৩৪০টি।

অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজের প্রচলন বাড়ায় বেড়েছিল বড় বাড়ির চাহিদা। এ দিকে আয় ঘিরে অনিশ্চয়তা ও তার পরে চড়া মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে সুদ বৃদ্ধির জেরে টান পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পকেটে। তা সত্ত্বেও জমে থাকা চাহিদায় ভর করে এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে ছাড় মেলায় বেড়েছিল ফ্ল্যাট বিক্রি। কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোজগার সে ভাবে না বাড়া এবং জিনিসপত্রের চড়া দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে মাথার ছাদ জোগাড়ের ভাবনা ছাড়ছেন সাধারণ মানুষ। তেমনই কিছু ব্যক্তির হাতে বাড়তি টাকা আসায় তাঁরা দামি বাড়ির দিকে ঝুঁকছেন। তাই নির্মাতারাও মোটা লাভের আশায় মূলত ৬০ লক্ষের বেশি দরের ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরি করছেন। সব মিলিয়ে কমছে সাধ্যের বাড়ি বিক্রি।

প্রপইকুইটির তথ্য অনুসারে, আট শহরে জানুয়ারি-মার্চে তৈরি হয়েছে ৩৩,৪২০টি ৬০ লক্ষ টাকার কম দামের বাড়ি। গত বছরে যা ছিল ৫৩,৮১৮টি। এদের মধ্যে কলকাতায় বিক্রি ২৮৩১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৭৪১টি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Flat Housing Complex

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy