আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের পতন প্রায় ১১%। ফাইল ছবি।
মাঝখানে দু’দিন উঠলেও ফের মুখ থুবড়ে পড়ল আদানি গোষ্ঠীর প্রায় সব সংস্থার শেয়ার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সূচক প্রস্তুতকারী এমএসসিআই তাদের সূচকে আদানিদের শেয়ারের গুরুত্ব পুনর্বিবেচনা করছে। আশঙ্কা, গুরুত্ব কমতে পারে। তার উপর ঋণের টাকা আগাম মেটাচ্ছে বলে গোষ্ঠীর দাবি মিথ্যা, এই অভিযোগও উঠেছে। জাপানের সূচক নিক্কেই-এর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, সংস্থাগুলির মোট ঋণ ভারতের জিডিপির ১ শতাংশেরও বেশি। এই সব কিছুই বৃহস্পতিবার আদানিদের শেয়ার দরকে নামিয়েছে।
গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার মধ্যে ন’টিই পড়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের পতন প্রায় ১১%। ২৪ জানুয়ারি থেকে গোষ্ঠীর লগ্নিকারীরা সার্বিক ভাবে ৯.৪ লক্ষ কোটি টাকা (৪৯%) শেয়ার সম্পদ হারিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের খবর তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর টুইট, ব্যাঙ্কের ঋণ আগাম মেটাতে ১১০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে, আদানিদের এই দাবি ভুয়ো। বন্ধকি শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় ঘাটতি মেটাতে ওই টাকা দিতে হয়েছে।
বস্তুত, আদানিরা শেয়ার বন্ধক রেখে ধার নিয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, লাগাতার দাম কমায় গোষ্ঠীর শেয়ার সম্পদ প্রায় অর্ধেক হয়েছে। ফলে বন্ধকের মূল্য কমেছে। ঋণ এবং বন্ধকি শেয়ারের দামের ঘাটতি মেটানোতেই তারা ১১০ কোটি ডলার খরচ করেছে বলে দাবি মহুয়ার। বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, অভিযোগের পাহাড় এবং এমএসসিআই সূচকে গুরুত্ব কমার আশঙ্কা। আদানিদের শেয়ার দরে ঝুঁকি বহাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy