সেনসেক্স আরও ৪১১.১৮ পয়েন্ট লাফাল সোমবার। টানা চারটি লেনদেনে তার মোট উত্থান ছুঁল ২৩৩৩.৩৯। আর তার হাত ধরে এ দিন থিতু হওয়া ৮৪,৩৬৩.৩৭ অঙ্কেই ২০৮১ সম্বৎ শেষ করল এই সূচক। নিফ্টি পৌঁছেছে ২৫,৮৪৩.১৫-এ। মঙ্গলবার এখান থেকেই শুরু হবে ২০৮২ সম্বৎ-এর পথ চলা। এই উপলক্ষে দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য চলবে বিশেষ মূরত লেনদেন।
সম্বৎ হল গুজরাতিদের নববর্ষ। আজ শেয়ার বাজার বন্ধ থাকবে। তবে দুপুরে ১টা ৪৫ থেকে ২টো ৪৫ পর্যন্ত চলবে এক ঘণ্টার মূরত লেনদেন। নতুন সম্বৎ শুরুর দিনে শেয়ার কেনাকে শুভ বলে মনে করা হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরের মধ্যে সব থেকে খারাপ রিটার্ন দিয়েছে ২০৮১ সম্বৎ। বিএসই-র সেনসেক্স দিয়েছে ৫.৭% আর এনএসই-র নিফ্টি ৫০ সূচক ৬.২%। ২০৮০ সম্বতে তা ছিল যথাক্রমে ২২.৩% এবং ২৪.৬%।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা এবং আমেরিকা চড়া শুল্ক বসানোর জেরে তীব্র অনিশ্চয়তায় ডুবে গিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। তাতেই ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। অনিশ্চয়তার জেরে সোনার রুপোর দাম বেড়েছে। অনেকেই শেয়ার থেকে টাকা তুলে সোনা-রুপোয় লগ্নি করেছেন। এ ছাড়া, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকা নানা রকম সমস্যার মধ্যে আছে। তার বিরূপ প্রভাবও পড়ছে বিশ্ব জুড়ে।
বাজার মহলের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০৮১ সম্বতের প্রথম ছ’মাসে সেনসেক্স, নিফ্টি ৯% করে পড়ে গিয়েছিল। পরের ছ’মাসে তারা কিছুটা জমি উদ্ধার করে। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি নিট হিসাবে ৩.১৫ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। উল্টো দিকে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি নিট শেয়ার কিনেছে ৬.৮৫ লক্ষ কোটি টাকার। ক্ষেত্র হিসাবে এই সম্বতে আকর্ষণীয় ছিল গাড়ি, আর্থিক পরিষেবা, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এবং ধাতু। পিছিয়ে পড়ে তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি এবং আবাসন।
সোমবার-সহ গত চারটি লেনদেনে অবশ্য লগ্নির হিড়িক দেখা গিয়েছে বাজারে। দেশি-বিদেশি, সব লগ্নিকারীরাই শেয়ার কিনেছেন। বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়াল বলেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সমস্যার মধ্যে দাঁড়িয়েও ভারতীয় অর্থনীতির চাঙ্গা হয়ে থাকাটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। শেয়ার বাজারে তারই প্রতিফলন ঘটছে। তবে তা এখন আর বিদেশি লগ্নি নির্ভর নয়। এই পুঁজি আসুক বা না-আসুক, নির্দিষ্ট নিয়মে কখনও না কখনও বাজারে গতি আসবেই। ফলে সাম্প্রতিক কালে বাজার পড়ার সময় যাঁরা শেয়ার কেনেননি, তাঁরা মুনাফার ভাল সুযোগ হারিয়েছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)