ঢিমে তালে সম্বৎ ২০৮২ শুরু করল শেয়ার বাজার। মঙ্গলবার ছিল নতুন সম্বতে প্রথম শেয়ার কেনাবেচার জন্য এক ঘণ্টার বিশেষ মুরত লেনদেন। সেনসেক্স মাত্র ৬২.৯৭ পয়েন্ট উঠে থেমেছে ৮৪,৪২৬.৩৪ অঙ্কে। নিফ্টি ২৫.৪৫ এগিয়ে ২৫,৮৬৮.৬০-এ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্বতে লগ্নিকারীরা নিরাশ হবেন না তো? কারণ ২০৮১-তে শেয়ারের রিটার্ন ছিল তিন বছরে সব থেকে কম।
ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট এবং আমেরিকার চড়া শুল্ক শেয়ার বাজারকে অনিশ্চিত ও অস্থির রেখেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, খারাপ সময়কে পিছনে ফেলে এ বার তা আরও চাঙ্গা হবে। বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, ‘‘কিছু অনিশ্চয়তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতি এবং শেয়ার বাজারকে বিপন্ন করছে। তবে তাঁর পক্ষেও শুল্ক যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যেই বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ মেটাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আমেরিকা। আশা করছি, নতুন সম্বতে ইতিবাচক ছবি দেখতে পাব।’’ ভ্যালু স্টকের এমডি শৈলেস সরাফ বলেন, ‘‘ভারতের অর্থনীতির চাঙ্গা হয়ে ওঠার ক্ষেত্র তৈরি। আয়কর এবং জিএসটির হার কমায় চাহিদা বাড়বে। গতি আসবে আর্থিক বৃদ্ধির চাকায়।’’ বিশেষজ্ঞ বিনয় আগরওয়ালের মতে, এ দেশ সেমিকনডাক্টর, সৌর বিদ্যুৎ-সহ অনেক নতুন শিল্পোৎপাদনে জোর দিয়েছে। যা রফতানির ঘাটতি পুষিয়ে অর্থনীতি এবং শেয়ার সূচককে ঠেলে তুলবে। সেনসেক্স কম করেও ৬০০০, নিফ্টি ২০০০ পয়েন্ট উঠতে পারে।
ভ্যালু রিসার্চের এমডি ধীরেন্দ্র কুমার আশাবাদী, সুদ আরও কমলে আরও বাজার পোক্ত হবে। তবে বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ মনে করছেন, শুধু প্রত্যাশায় ভর করে বাস্তবের ছবি বদলায় না। ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট চটজলদি মেটা কঠিন। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সফল না হলে ভারতে বহাল থাকবে আমেরিকার ৫০% শুল্ক। তথ্যপ্রযুক্তি-সহ একাধিক শিল্প বিপাকে। কাজেই অনিশ্চয়তার আবহেই আপাতত এগোতে হবে বাজারকে। সাধারণ লগ্নিকারীর উচিত সতর্ক হয়ে পা ফেলা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)