E-Paper

বিদ্যুৎকর্মীদের উপর হামলা নিয়ে চাপানউতোর

বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ বরাবরই বণ্টন সংস্থার মাথাব্যথা। সূত্রের দাবি, ক্ষতি এড়াতে নিয়মমাফিক অভিযান চালানো হয় বটে। তবে কখনও কখনও ‘উপর তলার’ নির্দেশে তা বন্ধও থাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৩
An image of Electric pole

—প্রতীকী চিত্র।

বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় এবং লোডশেডিং নিয়ে নানা জায়গায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। সংস্থার কিছু দফতরেও বিক্ষোভ-ভাঙচুর হচ্ছে। এর পিছনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মদত থাকলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই অভিযোগে সোমবার বিদ্যুৎ ভবন-সহ বণ্টন সংস্থাটির বিভিন্ন দফতরে প্রতিবাদ-সভা করে সিটু ও সিটু সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন। কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কথা বললেও তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের দাবি, আক্রমণকারীরা কোন দলের জানা সম্ভব নয়। সংস্থাও পুলিশে ঠিকমতো অভিযোগ জানাচ্ছে না।

বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ বরাবরই বণ্টন সংস্থার মাথাব্যথা। সূত্রের দাবি, ক্ষতি এড়াতে নিয়মমাফিক অভিযান চালানো হয় বটে। তবে কখনও কখনও ‘উপর তলার’ নির্দেশে তা বন্ধও থাকে। ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়নের অভিযোগ, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে এক স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে বেআইনি বিদ্যুতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালাতে গিয়ে ডিভিশনাল এঞ্জিনিয়ার-সহ কিছু কর্মী আক্রান্ত এবং জখম হন। মালদহে এক কর্মী মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। লোডশেডিংয়ের অভিযোগে বীরভূমের হাতিয়ায় সাব-স্টেশনে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। তাদের ক্ষোভ, তৃণমূলের আমলে রাজ্যে একটিও নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ জোগানে সমস্যাই লোডশেডিং-এর কারণ। কিন্তু রাজ্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে বলে যুক্তি দিচ্ছে। ইউনিয়নের নেতা জীতেন নন্দী-সহ একাংশের তোপ, গাফিলতি বিদ্যুৎ দফতরের। অথচ আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ কর্মী। অভিযোগ পেয়েও পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

কর্মী-হেনস্থা, অফিস-ভাঙচুরের কথা মানছেন রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অরিজিৎ দত্ত। তাঁর দাবি, পরিষেবা বিঘ্নিত হলে দায় চাপছে কর্মীদের উপরে। সংস্থার সিএমডি-সহ কর্তাদের তা বলেছি। বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষ ক্ষুব্ধ হবেনই। যাঁরা কর্মীদের উপরে চড়াও হচ্ছেন, তাঁরা কোন রাজনৈতিক দলের ওই ভাবে বলা যায় না। আধিকারিকেরাও পুলিশে যথাযথ অভিযোগ না জানানোয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারছে না।’’ তাঁর দাবি, আক্রান্তরা বেশিরভাগই তাঁদের সদস্য।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Electricity Board WBSEDCL LOAD SHEDDING Electricity Theft

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy