দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ও সেই সম্পর্কে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসের মধ্যে ইদানীং বড় ফারাক দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। তবেশীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর পুনম গুপ্তের দাবি, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাএর মূল কারণ। বিভিন্ন আর্থিক সমীক্ষা করতে গিয়ে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে বহু দেশের। পাশাপাশি তিনি জানান, এ বার থেকে বিদেশি মুদ্রার আয় এবং খরচ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রতি মাসে পেশ করা হবে। এখন হয় ত্রৈমাসিকে।
গত ক’মাস ধরে দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। অক্টোবরে ছিল ০.২৫%।প্রায় এক দশকে সর্বনিম্ন। অথচ শীর্ষ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল অনেক বেশি। এ দিকে মূল্যবৃদ্ধিকে আয়ত্তে (২-৬ শতাংশের মধ্যে) রাখার দায়িত্ব সেই তাদেরই হাতে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য,পূর্বাভাসে অহেতুক রক্ষণশীলতার ফলে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদও কমাতে পারেনি। ফলে কমেনি ঋণের সুদও। ঠিক সময়ে কমলে ভূ-রাজনৈতিক বিরূপ প্রভাবের মোকাবিলা করা তুলনায় সহজ হত। কারণ, ঋণের খরচ কমল উৎপাদন খরচও কমত। সুবিধা পেত রফতানি শিল্প। আরও বেশি গতি পেত অর্থনীতি। কিন্তু তাতে দেরি হয়েছে। এখন সবার নজর পরের ঋণনীতিতে।
বুধবার পরিসংখ্যান মন্ত্রকের এক সভায় ডেপুটি গভর্নরের বক্তব্য, ‘‘সব মূল্যায়নেই ঝুঁকি থাকে। তবে পূর্ব নির্ধারিত ভাবনাচিন্তার প্রভাব থাকে না। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক চূড়ান্ত গুরুত্বের সঙ্গেই তা করে। ব্যবহার করা হয় একাধিক পদ্ধতি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়। এত কিছুর পরেও বহু ক্ষেত্রে পূর্বাভাস মেলে না। সেটা হয় মূলত ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায়। বিশ্ব জুড়েই এটা হচ্ছে।’’ তাঁর আশা, অদূর ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধি সুদ কমানোর পক্ষে সহায়ক জায়গায় থাকবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)