E-Paper

বড় আগাম করে নজর, জোর বকেয়ায়

গত অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ ১৩.৫৭% বেড়ে হয়েছে ২২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। যদিও অল্পের জন্য লক্ষ্যমাত্রা (২২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা) স্পর্শ করা যায়নি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ০৮:১৬
বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বকেয়া কর আদায়ে।

বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বকেয়া কর আদায়ে। —প্রতীকী চিত্র।

প্রত্যেক অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে তৈরি হচ্ছে নতুন নজির। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ সালে সরকারের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যায়নি। দিতে হয়েছে বিপুল অঙ্কের কর ফেরতও। ফলে নিট আদায় বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছয়নি। এই অবস্থায় চলতি অর্থবর্ষে (২০২৫-২৬) যাতে লক্ষ্য পূরণ করা যায়, সে জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা (সেন্ট্রাল অ্যাকশন প্ল্যান বা সিএপি) তৈরি করেছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি)। আয়কর আধিকারিকদের সেই অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে বড় অঙ্কের আগাম কর জমার দিকে। কারণ, তার ফাঁকেই কর ফেরতের ভুয়ো দাবি লুকিয়ে থাকতে পারে। খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে কর ছাড় এবং মকুবের দাবি।

গত অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ ১৩.৫৭% বেড়ে হয়েছে ২২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। যদিও অল্পের জন্য লক্ষ্যমাত্রা (২২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকা) স্পর্শ করা যায়নি। এ বছরের বাজেটে ২৫.২০ লক্ষ কোটির লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। তার মধ্যে ১০.৮২ লক্ষ কোটি কর্পোরেট কর, ১৩.৬০ লক্ষ কোটি ব্যক্তিগত আয়কর-সহ অন্যান্য খাত ও ৭৮,০০০ কোটি সিকিউরিটি লেনদেন কর। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এ বছর নতুন আয়কর কাঠামোয় কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কেন্দ্রের হিসাব, এতে ১ লক্ষ কোটি টাকা আদায় কম হবে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে আরও নিশ্ছিদ্র হতে হবে আয়কর দফতরকে।

সূত্রের খবর, কর্তাদের যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে—

বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। যেখানে কর আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হচ্ছে, সেখানে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।

বড় অঙ্কের আগাম আয়করের দিকে নজর দেওয়া দরকার। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে নতুন ভাবে করের হিসাব কষতে বলতে হবে।

কর ছাড় ও মকুবের ভুল দাবি চিহ্নিত করা দরকার। কারণ, সেগুলি থেকে গেলে সরকারের আয় কমে।

যে সমস্ত জেলা বা অঞ্চলে প্রত্যাশার তুলনায় কর আদায় কম হচ্ছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।

বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বকেয়া কর আদায়ে।

করদাতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া দরকার।

সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, বহু মানুষ আয়করের নতুন কাঠামোয় চলে আসছেন। সেখানে বিভিন্ন ধারায় করছাড়ের সুবিধা নেই। তাই কম হিসাবের জটিলতা। ফলে আয়কর দফতরের কাজ সহজ হচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যে বিভিন্ন আদালত বা ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী যে অনাদায়ি কর রয়েছে, সেগুলি সংগ্রহে জোর দিতে হবে আধিকারিকদের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Income Tax Tax

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy