প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ি ঋণের অঙ্ক ৮ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই বোঝা নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। এরই প্রেক্ষিতে এ বার কড়া পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তারা। অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কগুলির চিফ এগ্জ়িকিউটিভদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ নেওয়া সংস্থাগুলির উপর কড়া নজর রাখতে হবে। সংস্থাগুলি ঋণের টাকা দিয়ে কী করছে, সে ব্যাপারেও খবরাখবর রাখতে হবে নিয়মিত। নইলে ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হতে পারে।
ঋণের টাকা অন্যত্র সরানোর অভিযোগে সম্প্রতি ভূষণ স্টিলের প্রাক্তন প্রোমোটার নীরজ সিঙ্ঘলকে গ্রেফতার করেছে এসএফআইও। ঋণের ২,০০০ কোটি টাকা সিঙ্ঘল সরিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু সিঙ্ঘল নন, বিভিন্ন সংস্থার আরও বেশ কয়েক জন প্রোমোটার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে রয়েছেন বলে খবর। ব্যাঙ্কিং সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষিতেই সংস্থাগুলির উপর কড়া নজর রাখতে উদ্যোগী হয়েছে অর্থ মন্ত্রক। ব্যাঙ্কগুলিকে জানানো হয়েছে, ঋণ প্রতারকদের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে করাতে হবে বিশেষ ফরেন্সিক অডিট। ব্যাঙ্কগুলি যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করে এবং পরবর্তী কালে যদি কোনও তদন্তকারী সংস্থা টাকা সরানোর ঘটনা খুঁজে পায়, তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে ১২০বি ধারা মোতাবেক ফৌজদারি মামলা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক প্রায় ৪০টি সংস্থার বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইনে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) মামলা করেছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের জুনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চিহ্নিত করা ১২টি অ্যাকাউন্টও রয়েছে। সেগুলিতেই আটকে রয়েছে মোট অনুৎপাদক সম্পদের ২৫%। আবার বেশ কয়েকটি অনুৎপাদক সম্পদের অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণের টাকা সরানো হয়েছে বলে খবর রয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy