আমানতে টিডিএস কাটা আটকাতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ১৫জি ফর্ম জমা দিতে গিয়েছিলেন এক গ্রাহক। ব্যাঙ্কের কর্মী বলেন পুরনো পদ্ধতিতেই ফর্ম ভর্তি করতে। অথচ এখন সেই পদ্ধতি বদলে গিয়েছে। ব্যাঙ্কে গ্রাহকের নামে পূরণ করা ফর্ম তৈরিই থাকে। গ্রাহক শুধু সই করলেই হল। কিন্তু কী ভাবে কোথা থেকে সেই নতুন ফর্ম মিলবে, ব্যাঙ্কের ওই কর্মী তা জানেনই না!
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি জমা প্রকল্পে টাকা রাখতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখায় গিয়েছিলেন এক গ্রাহক । সেখানকার কর্মী বলেন, ওই ধরনের কোনও প্রকল্প তাঁদের ব্যাঙ্কে নেই। পরে ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে জানা গেল, ওই প্রকল্প বিলক্ষণ রয়েছে সেখানে। অর্থাৎ, ওই কর্মী জানতেনই না যে, তাঁর ব্যাঙ্কে ওই প্রকল্প আছে!
লম্বা লাইন, দীর্ঘ অপেক্ষার পাশাপাশি এমন অজস্র কারণে ব্যাঙ্কে হয়রানির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে গ্রাহকদের তরফ থেকে। তাঁদের অনেকেই বলছেন, প্রায়শই দেখা যায় কর্মীরা অনেক বিষয়েই খুঁটিনাটি তেমন জানেন না। পরিষেবা এবং ব্যাঙ্কের নিয়মকানুনের বিষয়ে যেন তাঁরা অনেক সময়ই অন্ধকারে। বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। অনেক ব্যাঙ্ক কর্তাও মানছেন, কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম না জেনে এমন ঋণ দেওয়া হয়েছে, যা পরে উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটছে তাঁদের। এবং এই সমস্ত কিছুর জন্যই কর্মী সংখ্যা কম হওয়া ও তার জেরে প্রশিক্ষণে ঘাটতিকে দুষছে কর্মী সংগঠনগুলি। একমত বিশেষজ্ঞরাও।