E-Paper

‘লজিস্টিক পোস্ট’ এবং ‘মোবাইল পার্সল ভ্যান’! অভিনব দুই প্রকল্প নিয়ে হাজির ডাকঘর

কর্তৃপক্ষের দাবি, এই দুই পরিষেবায় গ্রাহক দেশের মধ্যে যে কোনও জায়গার পাশাপাশি বিদেশেও পণ্য পাঠাতে পারেন। দু’ক্ষেত্রেই ডাকঘর কর্মীরা বাড়ির দরজা থেকে তা তুলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন।

অঙ্কুর সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৮
ডাকঘর কর্মীরা বাড়ির দরজা থেকে পণ্য তুলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন।

ডাকঘর কর্মীরা বাড়ির দরজা থেকে পণ্য তুলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন। —ফাইল চিত্র।

ডাক বিভাগকে লাভজনক করে তুলতে পণ্য পরিবহণে জোর দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে দেশের ডাকঘরগুলি চালু করেছে দু’টি প্রকল্প। একটি, বেশি ওজনের জিনিস পাঠাতে ‘লজিস্টিক পোস্ট’। অন্যটি, হালকাগুলির পরিবহণে ‘মোবাইল পার্সল ভ্যান’। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই দুই পরিষেবায় গ্রাহক দেশের মধ্যে যে কোনও জায়গার পাশাপাশি বিদেশেও পণ্য পাঠাতে পারেন। দু’ক্ষেত্রেই ডাকঘর কর্মীরা বাড়ির দরজা থেকে তা তুলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন।

ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কল সূত্রে খবর, ৩৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের পণ্য পৌঁছনো হচ্ছে মোবাইল পার্সল ভ্যান পরিষেবায়। তার পর থেকে তিন টন পর্যন্ত ওজন হলে লজিস্টিক পোস্ট। এ মাসেই প্রথম লজিস্টিক পোস্ট-এর আওতায় বীরভূমের সিউড়ি থেকে দিঘা গ্রাম পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধা মূলত ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহণে কাজে লাগবে। ব্যক্তিগত পণ্য পাঠানোর সুবিধা দেবে মোবাইল পার্সল ভ্যান, জানান পশ্চিমবঙ্গ সার্কলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার। তাঁর দাবি, এই সার্কলের ৩২টি রুটে প্রধান ডাকঘরগুলিকে কেন্দ্র করে আপাতত মোবাইল পার্সল ভ্যান পরিচালিত হচ্ছে। বহু মানুষ এ ভাবে নিয়মিত জিনিসপত্র আদানপ্রদান করছেন। পরিষেবাটির সুবিধা নিচ্ছে শিল্প সংস্থাও। ভারতীয় ডাক বিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে এ জন্য বুকিং করা যায়। এর পরে নির্দিষ্ট সময় পার্সল ভ্যান যাবে বাড়িতে। সেখান থেকে পণ্য তুলে পৌঁছে দেবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। ঠিক যে ভাবে বড় কুরিয়র সংস্থা পরিষেবা দেয়, সে ভাবেই। তবে এতে খরচ বেসরকারি কুরিয়র পরিষেবার প্রায় অর্ধেক বলে দাবি নীরজের।

লজিস্টিক পোস্ট পরিষেবার জন্যও বুকিং করতে হবে অনলাইনে। কর্তৃপক্ষের বার্তা, বাড়ি বদলের ক্ষেত্রে কিংবা ব্যবসার কারণে রাজ্য বা দেশের মধ্যে পণ্য পাঠাতে চাইলে এটি কাজে দেবে। নীরজ জানান, বীরভূমে এই প্রকল্পের প্রথম সুবিধা নিয়েছেন এক সার ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, শান্তিপুরের শাড়ি এবং শান্তিনিকেতনের হস্তশিল্পজাত বিভিন্ন প্রকল্পও শীঘ্রই এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি দেবে। নীরজ বলেন, ‘‘একটি গাড়িতে যায় এক জনের পণ্য। এক বারে ওজন তিন টনের বেশি হওয়া যাবে না। এই পরিষেবায় পণ্য পাঠাতে কিলোমিটারে খরচ ২ টাকা থেকে শুরু। সর্বাধিক ২৯.৩৬ টাকা। এই খরচে আর কেউ পণ্য বয়ে দেয় না। লজিস্টিক পোস্টে পণ্যের বিমাও করাব। ফলে কোনও ক্ষতি হল মিলবে ক্ষতিপূরণ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

post Transport Project

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy