Advertisement
E-Paper

কিংফিশারকে ঋণ-খেলাপি চিহ্নিত করল ইউকো ব্যাঙ্কও

ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্কের পরে এ বার কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধার বাকি ফেলে রাখা গ্রাহক হিসেবে চিহ্নিত করল ইউকো ব্যাঙ্কও। বিষয়টি নিয়ে বিজয় মাল্যের সংস্থাটিকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে তারা। সোমবার ইউকো ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর জে কে গর্গ জানান, নোটিস পাঠানোর পরে সংস্থাকে যত দ্রুত সম্ভব তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪১
বাড়ল সঙ্কট। বিজয় মাল্য।

বাড়ল সঙ্কট। বিজয় মাল্য।

ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক ও স্টেট ব্যাঙ্কের পরে এ বার কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধার বাকি ফেলে রাখা গ্রাহক হিসেবে চিহ্নিত করল ইউকো ব্যাঙ্কও। বিষয়টি নিয়ে বিজয় মাল্যের সংস্থাটিকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে তারা।

সোমবার ইউকো ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর জে কে গর্গ জানান, নোটিস পাঠানোর পরে সংস্থাকে যত দ্রুত সম্ভব তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। কিংফিশারকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে, কেন তাকে ঋণ-খেলাপি ঘোষণা করা হবে না। যদিও ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে তারা। এর আগে গত মাসেই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ব্যাঙ্কের সিএমডি অরুণ কল জানিয়েছিলেন, কিংফিশারকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঋণ-খেলাপি বা ‘উইলফুল ডিফল্টার’ ঘোষণার বিষয়ে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কিংফিশারের কাছে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি পাওনা তাদের।

এর আগেই কিংফিশার, বিজয় মাল্য ও সংস্থার তিন ডিরেক্টর, রবি নেদুনগড়ি, অনিল কুমার গঙ্গোপাধ্যায় ও সুভাষ গুপ্তকে উইলফুল ডিফল্টার ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। এ দিকে, কেন এই তকমা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। একই পথে হেঁটেছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি), আইডিবিআই ব্যাঙ্কও। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে দেশ জুড়েই বিভিন্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজয় মাল্যের সংস্থাটি। গত মাসে সংস্থার দাবি ছিল, সেই ঘোষণার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ব্যাঙ্ককে যার বিরুদ্ধে যুক্তি দেখিয়ে হলফনামা দাখিল করতে হবে ৩ নভেম্বরের মধ্যে। পরের শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। কলকাতা হাইকোর্টের মতো দিল্লি হাইকোর্টও পিনবি-র সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

এ দিকে, কিংফিশার নিয়ে বিভিন্ন আদালতের রায়ে সমস্যায় পড়েছে ব্যাঙ্কগুলিও। তাই এখনই সংস্থাকে ঋণ-খেলাপি তকমা দেওয়ার পথে হাঁটছে না বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক। বরং অন্য পথে রুগ্ণ কিংফিশার এয়ারলাইন্সের থেকে বকেয়া টাকা আদায়ের ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে ফেডারেল ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। এ নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে কথা চালাচ্ছে তারা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কাছে সংস্থার ধার ৫০ কোটি টাকার। আর ফেডারেল ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক ৯০ কোটি। যার ১২% ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে তাদের দাবি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, উইলফুল ডিফল্টার কথাটির অর্থ স্বেচ্ছায় ঋণ-খেলাপি। অর্থাৎ, ধার শোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ঋণগ্রহীতা ও তাঁর গ্যারান্টর ইচ্ছাকৃত ভাবে তা মেটাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ। এর নানা কারণ হতে পারে। যেমন, কেউ হয়তো প্রাথমিক ভাবে যে-জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিয়েছেন, সেই খাতে টাকা ব্যবহার করেননি। তার বদলে তা খাটিয়েছেন অন্যত্র কিংবা সরিয়েছেন অন্য কোনও কাজে। কেউ আবার ঋণ পেতে মুনাফা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে থাকতে পারেন।

vijay mallya kingfisher debt defaulter uco bank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy