গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস পরীক্ষা পাশ করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই বাড়ছে সংশয়। ত্রাণ পেতে ঋণদাতাদের সঙ্গে কথা শুরু করতে পারবেন কি না, সেটাই এখন নির্ভর করছে আর্থিক সংস্কারে পার্লামেন্টের অনুমোদনের উপর।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারি খরচ কমানো ও কর বাড়ানোর কড়া শর্ত মেনেই ৮৬০০ কোটি ইউরো ত্রাণ নেওয়ার পথে হাঁটতে হবে গ্রিসকে। গত সোমবার এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ঋণদাতাদের কথা দিয়েই এই রফায় পৌঁছেছেন সিপ্রাস। কিন্তু এই নিয়েই ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে সিপ্রাসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। নিজের দল সিরিজা পার্টির প্রায় অর্ধেক সদস্য এবং জনসাধারণ শর্ত মানার ব্যাপারে জোরালো বিরোধিতা করছেন। তাঁদের আশঙ্কা এতে বেকারত্ব বাড়বে। পার্লামেন্ট ভবনের সামনে এ দিন রাতে প্রতিবাদ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। প্রতিবাদীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমাও ছোড়েন। সিপ্রাস সরকারের সহকারী অর্থমন্ত্রী নাদিয়া বালাবানি ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী পানাগটিস লাফাজানিস বলেছেন, তিনি ত্রাণ চুক্তির সমর্থনে ভোট দেবেন না। বন্ধ পালন করেন গ্রিসের আমলারা।
গ্রিকদের আর কৃচ্ছ্রসাধনের পথে ঠেলে দেবেন না, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসেন সিপ্রাস। অথচ বাধ্য হয়েই কড়া শর্ত মেনে নিয়েছেন তিনি। না-হলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে হত গ্রিসকে। ইউরো মুদ্রাও ব্যবহার করা সম্ভব হত না। ফলে ইউরোপন্থী বিরোধী পক্ষের সায় নিয়েই এই সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পাশ করাতে হবে সিপ্রাসকে।