কোভিডকালে তলানিতে ঠেকেছিল। সমীক্ষা বলছে, তার পরে চলতি বছরে নজির গড়ল কলকাতায় আবাসন নথিভুক্তি। বৃহত্তর কলকাতাকে নিয়ে উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ২০২০-র পরে এ বছরের প্রথম ন’মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এই এলাকায় ৪৬,৭৪২টি ফ্ল্যাট-বাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের থেকে ৩২% বেশি। করোনার পরে কোনও বছরে এত বেশি নথিভুক্তি দেখা যায়নি শহরে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, নথিভুক্তি মানে আবাসন বিক্রির তথ্য সরকারের খাতায় তোলা। ফলে তা চাহিদা বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত।
এর আগে ২০২২-এর প্রথম ন’মাসে কলকাতায় নথিভুক্ত হয়েছিল ৩৮ হাজারের বেশি আবাসন। নাইট ফ্র্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শিশির বৈজল বলেন, ‘‘বৃহত্তর কলকাতায় যে ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা বাড়ছে, সেটা স্পষ্ট ৩২% বৃদ্ধির হিসাবে। কলকাতার আবাসন মানচিত্র প্রমাণ করছে ক্রমশ বাড়ছে এই শহরের পরিধিও।’’
রিপোর্টে বলা হয়েছে— শুধু গত সেপ্টেম্বরেই বৃহত্তর কলকাতায় মোট ৫৩০২টি ফ্ল্যাট-বাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬% বেশি। সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাজারহাটে। তার পরে দমদম, খড়দহ ও বরাহনগর। চাহিদা বেড়েছে বড় বাসস্থানের। মোট নথিভুক্ত আবাসনের প্রায় ৭০ শতাংশই ৫০০ বর্গফুটের বেশি। হাউসিং ডট কমের ত্রৈমাসিক রিপোর্টের তথ্যও জানিয়েছে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে কলকাতায় বিক্রি ৪৩% বেড়ে হয়েছে ৪০০৭।
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের সভাপতি সুশীল মোহতার কথায়, ‘‘এ বছরের প্রথম ন’মাসে কলকাতায় আবাসনের নথিভুক্তির সংখ্যাই বলছে চাহিদা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোভিডের পরে ধীরে ধীরে শহরে যে বিক্রি বাড়ছে, তা স্পষ্ট হল।’’ সুশীলের মতে, গৃহঋণের চড়া সুদ চাহিদা বাড়তে দিচ্ছিল না। সুদ কিছুটা কমতেই বিক্রি মাথা তুলেছে। পূর্তি রিয়েলটির এমডি মহেশ আগরওয়ালের দাবি, ইতিবাচক নীতিও চাহিদাকে ঠেলে তুলেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)