সপ্তাহখানেক আগেই দেশে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এ বার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র পরিচালন কর্তৃপক্ষ এনপিসিআই-এর তথ্য বলছে, গত মাসে নতুন নজির গড়েছে ইউপিআই লেনদেন। এই ব্যবস্থায় অক্টোবরে প্রায় ২০৭০ কোটি লেনদেন হয়েছে। যেখানে জড়িত ২৭.২৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে কখনও এত বেশি অঙ্কের লেনদেন এক মাসে হয়নি। পরিসংখ্যান অনুসারে, এর আগে গত অগস্টে ইউপিআই লেনদেনের অঙ্ক শেষ রেকর্ড তৈরি করেছিল। সেই মাসে হাতবদল হয় ২৫.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে এই অঙ্ক ছিল ১৯.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অগস্টে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী জিএসটি কমানোর ঘোষণাই পরবর্তী প্রায় এক মাস ক্রেতাদের বাজার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ২২ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩৭৫টি পণ্য কর কমায় উৎসবের মুখে তাঁরা বাজারে ফেরেন। যার হাত ধরে মাথা তোলে বিক্রিবাটা। সেই গতি বজায় ছিল অক্টোবরেও। যে কারণে এই সময়ে নতুন নজির গড়েছে ইউপিআই তথা ডিজিটাল লেনদেন।
উল্লেখ্য, নোটবন্দির ঠিক আগের মাসে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সারা দেশে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করেছিল মোদী সরকার। সে বছর নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে দেশে এই লেনদেনে গতি আসে। তা আরও মাথা তোলে করোনাকালে। এনপিসিআই জানাচ্ছে, অক্টোবরে দেশে দিনে গড়ে ৬৬.৮ কোটি ইউপিআই লেনদেন হয়েছে। হাত বদলের অঙ্ক প্রায় ৮৮,০০০ কোটি টাকা। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় লেনদেন বেশি হয়েছে ২৫%, টাকার অঙ্কে বৃদ্ধি প্রায় ১৬%।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউপিআই লেনদেনে সময় কম লাগে, তা তুলনায় সুরক্ষিত। এতে গ্রাহক এবং প্রাপকের একে অপরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জানার দরকার পড়ে না। শুধু মুঠো ফোনে পিন দিয়েই এক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানো যায়। পাড়ার দোকানে চা খাওয়া, বাজারে আনাজ কেনাই হোক অথবা বড় অঙ্কের কেনাকাটা, সবেতেই এর ব্যবহার সহজে করা যায়। সেই কারণেই বর্তমানে দেশে ডিজিটাল লেনদেনে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ইউপিআই। যার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে উৎসবের মরসুমে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)