আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর দেশ এবং ভারত বাণিজ্য চুক্তির প্রায় দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবার ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল দাবি করেছেন, ‘যে কোনও দিন, এমনকি আগামিকাল’ চুক্তি সই হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, প্রতিটা দিনই ভারতের কাছে দামি। ট্রাম্প ৫০% শুল্ক চাপানোর পর ভারতের প্রায় ৪০০০ কোটি ডলারের শ্রমনির্ভর রফতানি ক্ষেত্র সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রফতানি ক্ষেত্রকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর জন্য ২৫,০০০ কোটি টাকার উৎসাহ প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, চুক্তি যদি দোরগোড়াতেই উপস্থিত হয়ে থাকে, তা হলে এই উৎসাহ প্রকল্পের দরকার পড়ল কেন?
সূত্রের মতে, আমেরিকার শুল্কের জেরে ইতিমধ্যেই ধাক্কা লেগেছে রফতানিকারীদের। শুল্ক যুদ্ধে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হলে আমেরিকার মতো বড় দেশের উপর নির্ভরতা কাটিয়ে অন্য দেশের বাজার আরও বেশি করে ধরার চেষ্টায় উৎসাহ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই অঙ্গ হিসেবে এই ঘোষণা। প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে এটাও মনে রাখা হয়েছে, রফতানিকারীদের বড় অংশ ছোট ও মাঝারি শিল্প বা ব্যবসায়িক সংস্থা। যারা বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কও বটে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, বাণিজ্য চুক্তির জন্য মঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে ঠিকই, কিন্তু দু’টি বিষয় দেখে নিয়ে তার পর তা চূড়ান্ত করতে চাইছে ভারত। প্রথমত, ট্রাম্প মুখে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করে বলছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে ভারত। সাউথ ব্লকের বক্তব্য, তা-ই যদি হবে তা হলে যে বাড়তি ২৫% জরিমানা শুল্ক ট্রাম্প প্রশাসন চাপিয়েছে, তা চুক্তি সইয়ের আগেই মকুব করে দেওয়া হোক। দ্বিতীয়ত, যদি আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালত ট্রাম্পের শুল্কের হার এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দেয় তা হলে তার সুবিধা পাবে ভারত। ট্রাম্প পূর্ববর্তী শুল্ক (গড়ে ১০%) ফিরে এলে বাণিজ্য চুক্তি করাটাও সহজ হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)