Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের শুল্ক-টর্পেডো, বদলার হুমকি বেজিংয়ের, বাণিজ্য যুদ্ধে সন্ত্রস্ত বিশ্ব

শোনামাত্র পাল্টা হুমকি ছুড়ল বেজিংও। জানাল, তারা বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না। সেই কারণেই রাজি হয়েছিল আলোচনার টেবিলে বসতে। কিন্তু এখন আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের পরে প্রত্যাঘাতের জন্য তারা তৈরি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৩:২৫

লাভ হল না দফায় দফায় বৈঠক আর বিস্তর দর কষাকষিতে। শেষ পর্যন্ত পুরোদস্তুর বাণিজ্য যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা সত্যি করে ৫,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে ২৫% আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শোনামাত্র পাল্টা হুমকি ছুড়ল বেজিংও। জানাল, তারা বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না। সেই কারণেই রাজি হয়েছিল আলোচনার টেবিলে বসতে। কিন্তু এখন আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের পরে প্রত্যাঘাতের জন্য তারা তৈরি।

ট্রাম্পও দমবার পাত্র নন। চিনা ড্রাগনের হুঙ্কার আঁচ করে তিনি আগাম বলে রেখেছেন, বেজিং বদলা নিলে, এ বার ১০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বসাবে ওয়াশিংটন। তার প্রাথমিক তালিকাও মোটামুটি তৈরি।

দু’পক্ষের এই তাল ঠোকাঠুকিতে স্বাভাবিক ভাবেই কাঁপুনি ধরেছে সারা বিশ্বে। বিশেষজ্ঞদের এক বড় অংশ মনে করছেন, এই ‘বিশ্বযুদ্ধে’ দু’পক্ষ ক্ষান্ত না দিলে, অনেক রক্ত ঝরবে হবে সারা বিশ্বের বাজারে। ধাক্কা খাবে বিক্রিবাটা। চাকরি খোয়াবেন অনেকে।

শুরু থেকেই ওয়াশিংটনের দাবি, তারা তদন্তে দেখেছে, অবাধ বাণিজ্যের নিয়মকানুনের তোয়াক্কাই করে না চিন। যে সমস্ত মার্কিন সংস্থা তাদের দেশে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করে, মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার নিয়ম ভেঙে ও চাপ খাটিয়ে এশীয় দেশটি হাসিল করে নেয় তাদের প্রযুক্তি। যা সরকারি চোখরাঙানিতে প্রযুক্তি চুরির সামিল। সেই সঙ্গে তারা অভিযোগের আঙুল তুলেছে চিনের উঁচু শুল্ক-প্রাচীরের দিকে। আর এই সমস্ত কারণেই চিনা পণ্যে চড়া শুল্কের প্রস্তাব। চিনের কটাক্ষ, অবাধ বাণিজ্যে তো দেওয়াল তুলছে ট্রাম্পের আমেরিকাই!

শুক্রবার বাণিজ্য সচিব উইলবার রস-সহ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই শুল্ক চাপানোয় সায় দেওয়ার কথা জানান ট্রাম্প। বিশ্ব অর্থনীতির দুই মহাশক্তির এই যুদ্ধে কাঁপুনি কর্পোরেট দুনিয়াতেও। আমেরিকায় অনেকের আশঙ্কা, চিনা পণ্যে চড়া শুল্ক চাপলে, তা কিনতে বেশি ডলার গুনতে হবে মার্কিনদের। কাঁচামাল কেনার খরচ বাড়বে ট্রাম্পের দেশের শিল্পেরও।

উল্টো দিকে চিনের হুঁশিয়ারি, আমেরিকার সয়াবিন, গাড়ি ও বিমানে চড়া শুল্ক চাপাবে তারা। মার্কিন মুলুক থেকে বিপুল পরিমাণে সয়াবিন চিনে আসে। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ৭,০০০ বোয়িং বিমানের বরাত দিয়েছে শুধু চিনা সংস্থাই। শুল্ক যুদ্ধ বাঁধলে, তাই প্রভাব সর্বগ্রাসী হওয়ারই সম্ভাবনা।

তবে অনড় ট্রাম্পের দাবি, চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি অন্তত ৩৭,০০০ কোটি ডলার। যার দরুন ২০ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরিই হয় না মার্কিন মুলুকে। যার পাল্টা দিতে তাল ঠুকছে বেজিং।

এ দিকে শোনা যাচ্ছে, মোট ২৪ কোটি ডলারের ৩০টি মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে ভারতও। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে চড়া শুল্ক বসানোয় ক্ষুব্ধ তারাও।

US President Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy