প্রতীকী ছবি।
দু’একটি সার্কলে দু’টি পোস্টপেড প্ল্যানে-র মাসুল হার ডিসেম্বর থেকে বাড়াল ভোডাফোন আইডিয়া (ভিআইএল)। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা, ফের কি সার্বিক ভাবে মাসুল বৃদ্ধির পথে হাঁটবে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর এই সংস্থা? যাদের মাথায় চেপে বিপুল সরকারি ফি-র বকেয়া। বিশেষত সংস্থার শীর্ষকর্তা রবীন্দ্র টক্কর যেহেতু মাসুল বৃদ্ধির প্রয়োজন নিয়ে সওয়ালও করেছিলেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতী এয়ারটেলের কর্ণধার সুনীল মিত্তলও সম্প্রতি দাবি করেছেন, ব্যবসা চালাতে গেলে গ্রাহক পিছু আয় বৃদ্ধি আশু প্রয়োজন। আর সে জন্যই দরকার মাসুল বৃদ্ধিও। তবে জল্পনা থাকলেও বুধবার পর্যন্ত এ নিয়ে কেউই স্পষ্ট করে কিছু না-বলায় আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে গ্রাহক মহলে। কারণ করোনাকালে কাজ থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন, সবেতেই ভরসা মোবাইল। সেই খরচ আরও বাড়লে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
বাজারে এসে দীর্ঘ দিন নিখরচায় ও পরে সস্তার মাসুলে দ্রুত গতির ৪জি পরিষেবা দিয়ে টেলিকম পরিষেবার ব্যবসার অঙ্ক বদলে দিয়েছিল রিলায়্যান্স-জিয়ো। গত ডিসেম্বরে অবশ্য ভিআইএল, এয়ারটেল, বিএসএনএলের সঙ্গে তারাও সার্বিক ভাবে মাসুল বাড়ায়। এ বার ফের উত্তরপ্রদেশের (পূর্ব) মতো সার্কলে ১০টির মধ্যে দু’টি পোস্টপেড পরিষেবার মাসুল ৫০ টাকা করে বাড়াল ভোডাফোন। সব সার্কলে সার্বিক ভাবে মাসুল বাড়বে কি না, সে সব নিয়ে বুধবার কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি তারা। প্রতিক্রিয়া মেলেনি এয়ারটেল ও জিয়োর তরফেও।
তবে এ মাস থেকে বিভিন্ন পোস্টপেড পরিকল্পনায় মাসুল হার সংশোধন করেছে বিএসএনএল-ও। সে ক্ষেত্রে কথা বলার সময়সীমা আগে নির্দিষ্ট না-থাকলেও, এখন তা দৈনিক ২৫০ মিনিটে বেঁধে দিচ্ছে তারা। সংস্থার কর্তাদের দাবি, এই সময়সীমা যথেষ্ট। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাসুল কমেছে এবং ডেটার পরিমাণ আরও অনেকখানি বেড়েছে।
শিল্পের একাংশের দাবি, জিয়ো বা ভোডাফোন যে মাসুলে পরিষেবা দিচ্ছে, তা কার্যত ন্যূনতম মাসুল যা হওয়া উচিত, তার চেয়ে অনেক কম। অর্থাৎ কার্যত ছাড় দিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে তারা। কারণ প্রায় একই পরিষেবায় এয়ারটেলের মাসুল বেশি। ফলে সার্বিক ভাবে ভোডাফোন ও জিয়ো মাসুল আরও না-বাড়ালে এখনই এয়ারটেলের পক্ষে মাসুল বৃদ্ধি কতটা সম্ভব, সে প্রশ্ন থাকছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy