—প্রতীকী চিত্র।
গত একটা সপ্তাহে ৮৩,০০০-এর সীমারেখার উপরে-নীচে অস্থির চলাফেরা জারি ছিল সূচকের। শুক্রবার এক লাফে ৮৪,০০০ পার করে আরও অনেকটা উঠে গেল সেনসেক্স। পা রাখল নতুন শিখরে। নজির নিফ্টিরও। লগ্নিকারীদের হাতে এল ৬.২৪ লক্ষ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, আপাতত বাজার শক্তিশালী থাকারই সম্ভাবনা। তবে অনেকে বলছেন, সাধারণ লগ্নিকারীদের সতর্ক পদক্ষেপ করতে হবে।
এ দিন সেনসেক্স ১৩৫৯.৫১ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৮৪,৫৪৪.৩১। নিফ্টি ৩৭৫.১৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ২৫,৭৯০.১৫। উল্লেখ্য, বহু প্রতীক্ষার পরে এক দিন আগেই সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ। তার প্রভাবে সে দেশের পাশাপাশি, এশিয়ার বাজারও চাঙ্গা হয়েছে। ইউরোপ অবশ্য ব্যতিক্রম ছিল।
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর ব্যাখ্যা, আমেরিকা যে হারে সুদ ছেঁটেছে তা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত ছিল। ফলে লগ্নিকারীদের উৎসাহ বেড়েছে। আর ভারতীয় বাজারের শক্তির পিছনে আরও কিছু কারণ আছে। মূল্যবৃদ্ধি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। আর্থিক বৃদ্ধিও প্রথম সারিতে। ব্যাঙ্কের সুদ সন্তোষজনক না হওয়ায় মানুষের পুঁজি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বাজারে ঢুকছে। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির মুখ ভারতের দিকে। গত দু’দিনে তারা ১৬,৬১১.৬১ কোটি টাকা ঢেলেছে। এ দিন ১৪,০৬৪.০৮ কোটি। তা ছাড়া মর্গ্যান স্ট্যানলির কম্পোজ়িট সূচকে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। যার ফলে আগামী দিনে উল্লেখযোগ্য পুঁজি ঢুকতে পারে। তবে এর পাশাপাশি তাঁর সতর্কবার্তা, ‘‘যে ভাবে সূচক উঠছে তা আশঙ্কার। সংস্থাগুলির আর্থিক ফল শেয়ারের দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হলে ধরে নিতে হবে দরে কৃত্রিমতা রয়েছে।’’
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ মনে করাচ্ছেন, ‘‘১৯৯৮-৯৯ সালে বহু বাগিচা এবং ডটকম সংস্থা আইপিও ছেড়েছিল। পরে তাদের অনেকে উধাও হয়ে যায়। হালেও দেখা যাচ্ছে মুড়িমুরকির মতো আইপিও আসছে। ফলে সতর্ক থাকতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy