বন্ধ কারখানার জমিতে নতুন শিল্প স্থাপনের নীতি আগেই গ্রহণ করেছিল রাজ্য। এ বার ওই ধরনের জমিতে আস্ত শিল্পতালুক তৈরির সিদ্ধান্ত নিল ক্ষুদ্র শিল্প দফতর। সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় ওই দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে জানান, বন্ধ হয়ে যাওয়া অশোকনগর ও কল্যাণী স্পিনিং মিলের জমিতে দু’টি বস্ত্র পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জোর কদমে চলছে তার পরিকাঠামো তৈরির কাজ। কিছু জমি ইতিমধ্যেই নিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। বাকি জমির জন্য পুজোর পরেই দরপত্র চাওয়া হবে। তালুক দু’টি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে বস্ত্র ক্ষেত্রে কয়েক হাজার কোটি টাকার লগ্নি আসতে পারে বলে আশা।
একই সঙ্গে প্রধান সচিব জানান, হাওড়ার হোসিয়ারি পার্কের পরিকাঠামোগত সমস্যা শীঘ্রই মিটিয়ে ফেলবে সরকার। সেইসঙ্গে রাজ্যে বস্ত্র ক্ষেত্রের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর। সে কারণেই অত্যাধুনিক সব রকম সুবিধা তৈরির সঙ্গে ‘কমন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ও তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, বস্ত্র ক্ষেত্রের সংস্থাগুলির জন্য এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা তৈরি থাকলে দুই শিল্প তালুকে ভাল সাড়া মিলতে পারে। এরই পাশাপাশি পাণ্ডে হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বস্ত্র ক্ষেত্রের উৎসাহ প্রকল্পের (টেক্সটাইল ইনসেনটিভ স্কিম ২০২২) সুবিধা নেওয়ার আবেদন জানান। এর আওতায় বেসরকারি সংস্থাগুলি যেমন সরকারের থেকে বিবিধ আর্থিক সহায়তা পাবে, তেমনই পাবে পরিকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক সুবিধাও। এ ছাড়াও সেক্টর ফাইভে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে একটি আদর্শ রফতানি উন্নয়ন তালুক তৈরি হচ্ছে। সেখানে মূলত বস্ত্র, খেলনা, চর্মজাত পণ্য, গয়না প্রভৃতির প্রদর্শন ও রফতানির সুবিধা থাকবে বলে জানান প্রধান সচিব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)