E-Paper

নতুন উদ্যোগে পিছিয়ে বাংলা

বুধবার ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) মন্ত্রকের সভায় কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক কর্তাও মানলেন, প্রথম সারির রাজ্যগুলির দলে বাংলা নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৯
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্যে নথিভুক্ত স্টার্ট আপ ১১৭০টি।

সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্যে নথিভুক্ত স্টার্ট আপ ১১৭০টি। —প্রতীকী চিত্র।

নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট আপ সংস্থা প্রচুর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তার আঁতুড়ঘর হিসেবে সামনে উঠে আসছে না, এই অভিযোগ উঠেছিল আগেই। বুধবার ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) মন্ত্রকের সভায় কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক কর্তাও মানলেন, এই ক্ষেত্রে প্রথম সারির রাজ্যগুলির দলে বাংলা নেই। বরং অন্যান্য বড় রাজ্যের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে। রাজ্যের ‘পেটেন্ট ইনফর্মেশন সেন্টার’-এর (মেধাসত্ব সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্র) নোডাল অফিসার মহুয়া হোম চৌধুরী বলেন, ‘‘এখানে গত কয়েক বছরে বহু স্টার্ট আপ তৈরি হয়েছে। তবু রাজ্য প্রথম সারিতে নেই। মেধাসত্ব নেওয়ায় ২০২০-তে অষ্টম ছিল। ২০২৪ সালে ১৩-তে নেমেছে। এতে স্পষ্ট, রাজ্যে এই ক্ষেত্রে আবেদন কমছে। এর সংখ্যা বাড়াতে হলে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।’’

সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্যে নথিভুক্ত স্টার্ট আপ ১১৭০টি। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরলে যথাক্রমে ৫৮০১, ৩২৯১ ও ৩০৫০টি। আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দেশে নথিভুক্ত নতুন সংস্থা ১.৬১ লক্ষের বেশি। কিন্তু রাজ্যের অবস্থা ততটা ভাল নয়। এমএসএমই মন্ত্রকের কর্তাদেরও দাবি, এখানে বহু ছোট সংস্থা থাকলেও কেন্দ্র-রাজ্যের রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির শিকার তারা। কেন্দ্রের নানা প্রকল্পে যোগ না দেওয়ায় তাদের খাতায় নথিভুক্ত হচ্ছে না। মিলছে না সুবিধা। মন্ত্রকের কলকাতা ডিএফও-র অধিকর্তা পি কে দাসের বার্তা, রাজ্যকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা নিতে এগিয়ে আসতে হবে। না হলে স্টার্ট আপে সফল হওয়া কঠিন। যা বাংলায় এক শতাংশের কম।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

MSME Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy