প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধির যাবতীয় উপাদান ফের মাথা তুলছে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধীরে ধীরে বাড়ছে উৎপাদন। চলতি অর্থবর্ষে ৮ শতাংশের মতো সঙ্কোচনের পরে, এ সবের উপরে ভর করে আগামী অর্থবর্ষে দুই অঙ্কের রেকর্ড বৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছে দেশের অর্থনীতি। অথচ বেসরকারি লগ্নির দেখা নেই। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ফেব্রুয়ারির বুলেটিনের এক নিবন্ধে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্র-সহ শীর্ষ ব্যাঙ্কের ক’জন আধিকারিক। একই বুলেটিনের অন্য এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থনীতির ঝিমুনির সময় থেকেই অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) বৃদ্ধির ভয়ে বড় শিল্পকে ঋণ দেওয়ায় রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছে ব্যাঙ্কগুলি। আর এর জেরে করোনাকালে ওই ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া সরাসরি কমেছে।
শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বুলেটিনের বক্তব্য লেখকদের নিজস্ব মতামত। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, শিল্প ক্ষেত্র ঋণ না-পেলে বেসরকারি লগ্নি বাড়বেই বা কী করে? কী ভাবেই বা তৈরি হবে নতুন কাজ? বেসরকারি লগ্নি না-এলে তো লকডাউনের শিথিলের পরে মাথা তোলা চাহিদাও বেশি দিন থাকবে না!
বেসরকারি লগ্নি টানতে কোম্পানি কর এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়েছে কেন্দ্র। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে বিপুল বাড়নো হয়েছে পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্র কি সেই অস্ত্রকে কাজে লাগাবে? নিবন্ধ অনুসারে, ‘‘চাহিদা বৃদ্ধির যাবতীয় শর্ত উপস্থিত। পরিস্থিতি বেসরকারি লগ্নির পক্ষে আদর্শ। অথচ তারই দেখা নেই।’’ এই অবস্থায় শুধু এই সমস্ত মাপকাঠির দিকে তাকিয়ে না-থেকে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থনীতির ঝিমুনিতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকেই ব্যাঙ্ক ঋণ বৃদ্ধির হার কমছিল। চলতি অর্থবর্ষে করোনা এবং লকডাউনে তা আরও ধাক্কা খেয়েছে। সম্প্রতি আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ায় কৃষি ও পরিষেবা ক্ষেত্রে ঋণের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এমনকি, কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পদক্ষেপে বেড়েছে মাঝারি শিল্পের ঋণও। অথচ, বড় শিল্প এবং পরিকাঠামোয় ঋণ দেওয়া সরাসরি কমেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শিল্প ঋণ ২.৫% বাড়লেও, এ বার তা কমেছে ১.৩%। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy