E-Paper

মহিলাদের পাঁচিল ভাঙার গল্প

পুরুষ বা মহিলা না দেখে মেধা-যোগ্যতা-কর্মদক্ষতার নিরিখে কর্মী হিসেবে সমান বিচারের সওয়াল করেছেন সিইএসসি ভেঞ্চার্সের প্রধান (আইটি জেনারেশন্স) সঙ্ঘমিত্রা পাইন এবং জাগরণ গোষ্ঠীর সিআইও সর্বাণী ভাটিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫২
An image of Mobile Phone

—প্রতীকী চিত্র।

সময়ের সঙ্গে পা মিলিয়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দ্রুত এগোচ্ছেন মহিলারা। উঠছেন উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে। তবে পথ যে আরও অনেকটা বাকি, সে ব্যাপারে একমত হল ইনফোকমের মঞ্চ।

শুক্রবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকমে শামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন সংস্থার সফল মহিলা প্রযুক্তিবিদেরা। ‘প্রযুক্তি ক্ষেত্রে মহিলা’ শীর্ষক সভায় তাঁদের জবানিতেই কখনও উঠে এল মনের জোরে বাধার পাঁচিল ভাঙার কথা, কখনও জেদ আর সদিচ্ছায় ভর করে সামনের পথ চওড়া হওয়ার হদিশ। সভার সঞ্চালক তথা উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিলের সিটিও মায়া নায়ার যখন জানতে চাইলেন এ ক্ষেত্রে মহিলাদের চ্যালেঞ্জ এবং তাকে জয় করে এগোনোর মন্ত্র, তখন সেটাই বেঁধে দিল সভার মূল সুর।

কিন্ড্রিল ইন্ডিয়া-র ভিপি নমিতা সিঙ্ঘাই মনে করান, কয়েক দশক আগে তাঁর কর্মজগতে পা রাখার সময় পাঁচতলা অফিস-বাড়িতে মহিলাদের জন্য মাত্র একটি শৌচালয় ছিল। যে সূত্র ধরে শীলা ফোম-এর ভিপি চারু ভার্গব জোর দেন নীতির পাশাপাশি কাজের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে। তাঁর দাবি, শুধু প্রযুক্তির কথা ভাবলে হবে না। সাফল্য ছিনিয়ে আনতে মহিলা প্রযুক্তিবিদদের সব থেকে আগে বুঝতে হবে ব্যবসার খুঁটিনাটি।

পুরুষ বা মহিলা না দেখে মেধা-যোগ্যতা-কর্মদক্ষতার নিরিখে কর্মী হিসেবে সমান বিচারের সওয়াল করেছেন সিইএসসি ভেঞ্চার্সের প্রধান (আইটি জেনারেশন্স) সঙ্ঘমিত্রা পাইন এবং জাগরণ গোষ্ঠীর সিআইও সর্বাণী ভাটিয়া। যা উন্নতির প্রথম শর্ত, মনে করেন তাঁরা। তবে সঙ্ঘমিত্রার দাবি, গত এক দশক ধরে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে মহিলাদের উপস্থিতি বাড়ছে। তাঁদের সুবিধার জন্য নানা রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সময় কাজ করার পরে বাড়ি ফেরা কিংবা হয়রানির অভিযোগ জানানোর মতো বিষয় নিয়ে আগের মতো চিন্তায় পড়তে হয় না অনেককেই। আলোচনায় ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজের জগতের ভারসাম্য রক্ষার প্রসঙ্গ তোলেন সঞ্চালক। অঙ্কোয়েস্ট ল্যাবরেটরিজ়ের সিআইও পূজা চাত্রাথ সেই সমস্যা থেকে বেরোতে সব দিক থেকে ঘরে-বাইরে সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

তবে প্রযুক্তির কাজে মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি যে নবীন প্রজন্মকে এগিয়ে রেখেছে, একবাক্যে মেনেছেন সকলেই। সঙ্ঘমিত্রা বলেন, তাঁদের সময়ে মহিলা প্রযুক্তিবিদ ছিলেন হাতে গোনা। যোগাযোগ তৈরির অবকাশ ছিল কম। এখন সেই সুযোগ রয়েছে। যার সদ্ব্যবহার জরুরি। সঙ্গে দরকার বুদ্ধি ও কাজের ভার ভাগ করে নেওয়া।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Women Empowerment Technology Development electronic devices

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy