—ফাইল চিত্র।
গৃহ ঋণ-সহ বিভিন্ন ঋণের সুদে ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে মহিলাদের জন্য। অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলিতে তাঁরা যাতে আরও বেশি করে ঋণ পান, তার জন্য নীতিও রয়েছে সরকারের। কিন্তু বিভিন্ন পরিসংখ্যান কাটা-ছেঁড়া করে দেখা যাচ্ছে, তা সত্ত্বেও ঋণের বৃত্তে মহিলাদের পদক্ষেপ এখনও সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছয়নি।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলাদের ঋণের পরিস্থিতি নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ট্রান্সইউনিয়ন সিবিল। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের শেষে সারা দেশে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৫.৪ কোটি। যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় (২.২৫ কোটি) দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে বটে, কিন্তু সমস্ত গ্রাহকদের মধ্যে তাঁদের হার এখনও মাত্র ১২%। ঋণ খেলাপের তথ্যের হিসাব কষতে বসলে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের (৫.২%) রেকর্ড এ ক্ষেত্রে পুরুষদের (৬.৯%) তুলনায় ভাল। ফলে সেরা ক্রেডিট স্কোরের বন্ধনীতেও তাঁদের উপস্থিতির হার (৫৩%) পুরুষদের (৪৭%) থেকে বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অগ্রগতির চাকা এতটা মন্থর কেন, সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলকে। সিবিলের চিফ অপারেটিং অফিসার হর্ষলা চান্দোরকর অবশ্য পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আশাবাদী। তাঁর বক্তব্য, ভাল ক্রেডিট স্কোরের উপরে নির্ভর করে খুচরো ঋণে শক্তিশালী ঋণগ্রহীতা হিসেবে উঠে আসছেন মহিলারা।
একই বিষয়ে পরিসংখ্যান পেশ করেছে সিবিলের প্রতিযোগী সংস্থা ক্রিফ হাইমার্ক। তারা জানিয়েছে, গৃহ ঋণের গ্রাহকদের মধ্যে মহিলাদের অনুপাত সবচেয়ে বেশি, ৩১%। গাড়ি ঋণ ও ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ১৮% এবং ১৭%। তবে একটি বিষয়ে পুরুষদের থেকে তাঁরা এগিয়ে রয়েছেন। গাড়ি ঋণের গড় অঙ্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে যেখানে ৬.৯ লক্ষ টাকা সেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৬.৪ লক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy