Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আমেরিকাকে মুক্ত বাণিজ্যের পাঠ দিচ্ছে চিন! 

গত শুক্রবার চিনের ২০,০০০ কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। জানিয়েছে আরও ৩২,৫০০ কোটি ডলারের পণ্যে নতুন করে শুল্ক চাপানোর কথাও। তার পরে পাল্টা হিসেবে ৬,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে বেজিংও।

শি চিনফিং।

শি চিনফিং।

বেজিং ও ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৯ ০৪:০২
Share: Save:

মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম নেননি এক বারও। শুধু বললেন আরও বেশি করে অর্থনীতির দরজা খোলার ও মুক্ত বাণিজ্যের কথা। জানালেন, সকলের মুখে উপরে দরজা বন্ধ করে কোনও দেশ বাঁচতে পারেন না। যা শুনে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শুরুর পরে বুধবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মঞ্চে থেকে আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই কটাক্ষ করলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।

গত শুক্রবার চিনের ২০,০০০ কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। জানিয়েছে আরও ৩২,৫০০ কোটি ডলারের পণ্যে নতুন করে শুল্ক চাপানোর কথাও। তার পরে পাল্টা হিসেবে ৬,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে বেজিংও।

শিয়ের যদিও দাবি, যে সভ্যতা বিশ্বের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকে, তাতে প্রাণ সঞ্চারও হয় না। মুক্ত বাণিজ্য, বিশ্বায়নের লক্ষ্যে এশিয়ার সব দেশকে এক জোটে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি। অনেকের মতে, শুল্ক যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের এক কর্তা চিনের সঙ্গে টানাপড়েনকে ‘অন্য সভ্যতার সঙ্গে লড়াই’ বলে জানিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করলেন শি।

চিনের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধ নিয়ে অবশ্য নিজের অবস্থানেই অনড় ট্রাম্প। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে তাঁর দাবি, বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা বন্ধ হয়নি। সামান্য ‘কথা কাটাকাটি’ হয়েছে। কিন্তু আলোচনা থমকে যায়নি। লগ্নিকারীরা অবশ্য এখনই এতে আশ্বস্ত হচ্ছেন না। বিশেষত যখন চিন ও আমেরিকা দু’দেশের বাজারেই চাহিদা কমার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। কমেছে বিক্রি। ধাক্কা খেয়েছে শিল্পোৎপাদনও। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বৃদ্ধির হারেও ধাক্কা লাগতে পারে। যার জের পড়ার সম্ভাবনা বিশ্ব দেশের বাজার তথা অর্থনীতিতেও। তবে এরই মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন গাড়ির উপরে চড়া আমদানি শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত ছ’মাস পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর।

এ দিকে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর থেকে রফতানির বিশেষ সুবিধা তুলে নিলে তা আদতে চিনকেই সুবিধা করে দেবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনের জিএসপি সংক্রান্ত বাণিজ্য গোষ্ঠীর রিপোর্ট। তাদের মতে, বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে এখন এই সব দেশগুলির থেকে বেশি পণ্য আমদানি করছে মার্কিন সংস্থাগুলি। কিন্তু ভারতের থেকে জিএসপি তুললে বেজিংকে চাপে ফেলার প্রচেষ্টাতেই ধাক্কা লাগবে।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trade War USA China Xi Jinping
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE