বাজার কাঁপাচ্ছে এই চিনা মোবাইল সংস্থা। ছবি: শাটারস্টক।
ভারতের মোবাইল বাজারে চিনা সংস্থা শাওমি যে জাঁকিয়ে বসেছে, ফোন বিক্রির হিড়িকে তার একটা আভাস ছিলই। সম্প্রতি, একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে এই সংস্থাটি মোবাইল আমদানির ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ এপ্রিল,মে,জুন মাসে রেকর্ড সংখ্যক ফোন ভারতে আমদানি করেছে এই চিনা মোবাইল সংস্থা। ৩ কোটি ৭০লক্ষ ফোন আমদানি করে শাওমি আপাতত মোবাইল সংস্থাগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে। এর সঙ্গেই শেয়ার বাজারে এই চিনা সংস্থাটির শেয়ার প্রায় ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে ।
আরও পড়ুন: শুধু স্মার্টফোন নয় এ বার আসতে পারে রেডমি টিভিও
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তিতে লগ্নি টানার সুবিধা উধাও
কাউন্টার পয়েন্ট নামে মার্কেট রিসার্চ সংস্থার ‘মার্কেট মনিটর সার্ভিস’ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এই বছর স্যামসাং-এর শেয়ার হ্রাস পেয়েছে সাত শতাংশ। কিন্তু অন্যদিকে চিনা “বি বি কে” গ্রুপ যার অন্তর্গত ওপো থেকে রিয়েলমি-সহ নানা মোবাইল ব্র্যান্ড তাদের শেয়ার অভাবনীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে এই গ্রুপের শেয়ার ৩০%। হুয়াইের উপর থেকে আমেরিকা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে তারাও ভারতের বাজার ধরার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।
কম মূল্যের ফোনের ক্ষেত্রে যেখানে চিনা সংস্থাগুলির শেয়ার এবং মোবাইল বিক্রির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্য দিকে দামি ফোনের বাজারে স্যামসাং-কে টেক্কা দিয়েছে ওয়ান প্লাসের সিরিজ।
এই গবেষণা থেকে উঠে আসা তথ্যে জানা গিয়েছে ওপো,আসুস, রিয়েলমি ভারতের বাজারে সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া মোবাইল সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে কাউন্টার পয়েন্টের ডিরেক্টর তরুণ পাঠক বলেন, “বেশি ক্রেতা টানার লক্ষ্যে মোবাইল সংস্থাগুলি এখন ধীরে ধীরে একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন ফিচার্স নিয়ে নানা সিরিজ আনছে। ফলে ক্রেতাদের মনে উৎসাহ বাড়ছে।”
কিন্তু এই নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন ওই মার্কেট রিসার্চ সংস্থার মুখ্য বিশ্লেষক অংশিকা জৈন। তিনি জানান, “বাজারের অবস্থা এই রকম চলতে থাকলে আর কয়েক বছরের মধ্যে শুধু গুটিকতক নামী ব্র্যান্ডই মোবাইল বাজারে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy