মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)-এর জগতে পরবর্তী বিপ্লব আসতে চলেছে ভারতের হাত ধরেই।
সম্প্রতি বার্ষিক আলোচনাসভা‘বিল্ড ২০১৪’-এ এই দাবিই করল মাইক্রোসফট। মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির মতে, ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১০ শতাংশেরও বেশি অ্যাপ তৈরি হয় ভারতে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জগতে সর্ববৃহৎ আঁতুড়ঘরও এই দেশ। কিন্তু এতেই থেমে থাকলে চলবে না। বরং আগামী দিনে সবার হাতে হাতে ঘুরবে, এমন অ্যাপ্লিকেশন তৈরিই লক্ষ্য হওয়া উচিত ভারতে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। মাইক্রসফটের অন্যতম কর্তা জোসেফ ল্যান্ডেস-এর দাবি, ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। আর তা সফল হবে বলেই মনে করছেন ল্যান্ডেস।
শুধুমাত্র উদ্ভাবনের দিক দিয়ে নয়, সাধারণ ভাবেও ভারতের বাজারকে পাখির চোখ করতে চাইছে এই মার্কিন সংস্থা। সদ্য হাতে নেওয়া সংস্থা নোকিয়া প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছে মাইক্রো-সফট। ল্যান্ডেসের মতে, ভারতের গ্রাহকেরা নোকিয়ার পণ্য তুলনায় বেশি পছন্দ করেন। যে-কারণে অনেক পণ্যই আমেরিকা বা অন্যান্য দেশের আগে এখানকার বাজারে আনে সংস্থা। এই সবের কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় কর্মীদের উৎসাহ দিতে চায় মাইক্রোসফট। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অ্যাপল আই প্যাডের জন্য অফিস ৩৬৫-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে সংস্থার সিইও সত্য নাদেল্লা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী দিনে অ্যাপ তৈরি করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য হতে চলেছে। সে দিক থেকে মাইক্রোসফটের ঘোষণা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এ দিকে, বিল্ড-এর মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ নয়া প্রযুক্তি ঘোষণা করেছে বিল গেটসের সংস্থাটি। তাদের ‘কোন্টারা’ নামের নয়া প্রযুক্তি পাল্লা দেবে অ্যাপলের ‘সিরি’ এবং গুগ্লের ‘গুগ্ল নাউ’-এর সঙ্গে। অনেকটা পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ব্যক্তি গত সহকারীর মতোই মোবাইল ব্যবহারকারীর প্রয়োজন এবং সুবিধার খেয়াল রাখবে এই ‘কোন্টারা’। কথা বলেই জানিয়ে দেবে বিভিন্ন তথ্য। আপাতত শুধু আমেরিকাতে পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করবে সংস্থা। তবে দেখে নেবে সুবিধা -অসুবিধা। তার পর বিশ্বের বাজারে পা রাখবে এই প্রযুক্তি । এতেই শেষ নয়। একই সঙ্গে কম্পিউটার-এর নতুন অপারেটিং সিস্টেম ‘উইন্ডোজ ৮.১’-ও এনেছে মাইক্রোসফট। ভারতীয় সংস্থা মাইক্রোম্যাক্সের ফোনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। এমনকী ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকে মোবাইল বা ট্যাবের মতো ছোট পণ্যে (৯ ইঞ্জিন কম মাপের স্ক্রিন) বিনামূল্যে উইন্ডোজ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মাইক্রোসফট। এত দিন এই দুই ক্ষেত্রে পণ্য পিছু ৫ থেকে ১৫ ডলার মাসুল নিত তারা।