মোবাইল ফোন বা ‘ডঙ্গল’-এ ইন্টারনেট পরিষেবার ন্যূনতম ‘ডাউনলোড স্পিড’ বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। তাদের দাবি, এই পরিষেবার মান বেশ খারাপ বলে অভিযোগ বহু গ্রাহকেরই। তাই ন্যূনতম গতির (স্পিড) প্রস্তাব প্রসঙ্গে গ্রাহক ও টেলিকম শিল্পের কাছ থেকে মতামত জানতে চেয়েছে তারা।
ট্রাই-এর গত জানুয়ারির হিসেব অনুযায়ী, দেশে মোবাইল ফোন ও ডঙ্গল-এর মাধ্যমে তারবিহীন নেট পরিষেবা ব্যবহার করেন প্রায় ৪.১৯ কোটি গ্রাহক। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থা বিজ্ঞাপনে যতটা স্পিডের প্রতিশ্রুতি দেয়, বাস্তবে তা মেলে অনেক কম। বস্তুত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ গতির কথা বলা হয়। ফলে কোনও তথ্য ডাইনলোড করার সময় মাঝপথে তা আটকে যায়। কখনও তা পুরোপুরি থেমেও যায়।
এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ট্রাই ২০১২-এর তারবিহীন তথ্য পরিষেবার গুণগত মান সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে নূন্যতম স্পিডের মাপকাঠি বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে তার আগে তারা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত জানতে চায়। এই ক্ষেত্রে আরও কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলেও মনে করছে ট্রাই।
গত ন’মাস টেলিকম সংস্থাগুলির দেওয়া ন্যূনতম ডাউনলোড স্পিড নজরদারি করছে ট্রাই। তাতে তারা দেখেছে, একই প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা হলেও বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন লাইসেন্স এলাকায় পরিষেবার মধ্যে ফারাক হয়। যেমন, টুজি পরিষেবায় সংস্থাগুলির ন্যূনতম স্পিড ২১.৪২ থেকে ৯৭.০৬ কেবিপিএস পর্যন্ত ওঠানামা করছে।
পাশাপাশি ট্রাই দেখেছে, নূন্যতম ডাউনলোড স্পিড-এর বিষয়টিও গ্রাহকদের অজানা। টেলিকম সংস্থাগুলি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানায় না। গ্রাহকদের তথ্য ব্যবহারের উপর নির্ভর করে মাসুল হার স্থির করা হয়। ন্যূনতম স্পিডের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় না। মাসুল হারের বিজ্ঞাপনে ন্যূনতম স্পিড স্পষ্ট জানানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। আগামী ৫ মে-র মধ্যে আমজনতা ও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে এই সব বিষয়ে মতামত জানাতে হবে। যদি কেউ পাল্টা কিছু জানাতে চান, তাহলে তিনি সময় পাবেন ১২ মে পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy