বিমা বাজারে দখল বাড়াতে পরিষেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি শহরকেই বেছে নিতে চাইছে রিলায়্যান্স লাইফ ইনশিওরেন্স। এর জন্য বিশেষ একটি ত্রিমুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে অনিল ধীরুভাই অম্বানী গোষ্ঠী ও জাপানের নিপ্পন লাইফের যৌথ উদ্যোগ সংস্থাটি। পাশাপাশি এখন থেকে প্রথাগত বা ট্রাডিশনাল পলিসি বিক্রির উপরেই জোর দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা।
জীবন বিমার ক্ষেত্রে নতুন বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। সেই মতো চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই সমস্ত বিমা সংস্থাকে পুরনো প্রকল্প বাতিল করে নতুন প্রকল্প বাজারে ছাড়তে হচ্ছে। রিলায়্যান্স লাইফ ইতিমধ্যেই ২৯টি নতুন প্রকল্পে আই আর ডি এ-র অনুমোদন পেয়েছে, যার ৮০% প্রথাগত প্রকল্প। ইউলিপ সংক্রান্ত নতুন নিয়মের জটিলতা এড়াতে শুধু রিলায়্যান্স লাইফ নয়, অধিকাংশ জীবনবিমা সংস্থাই প্রথাগত পলিসি বিক্রিতে জোর দিচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে রিলায়্যান্স লাইফ মোট ৪ হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
রিলায়্যান্স ইনশিওরেন্সের সিইও অনুপ রাউ বলেন, “শুধু পলিসি বিক্রি করাই নয়, আমরা যে-পরিকল্পনা তৈরি করেছি, তার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিমা সংক্রান্ত নানা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে।” এ ছাড়া এজেন্টদের মাধ্যমে পলিসি বিপণনের উপরেই তাঁরা জোর দেবেন। বর্তমানে সারা দেশে ৮০ হাজার এজেন্ট আছে সংস্থার। তা বাড়ানো হবে।
ত্রিমুখী পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে ‘ফেস টু ফেস’, ‘লাইফ প্লাজা’ ও ‘কেরিয়ার এজেন্সি’ প্রকল্পগুলি হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলি রূপায়ণে নিপ্পন লাইফের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করা হবে।
যে-সব গ্রাহক পলিসি কেনার পর এজেন্টদের পরিষেবা পাচ্ছেন না, ফেস টু ফেস প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হবে। লক্ষ্য, যে-সব পলিসি প্রিমিয়াম জমা না-দেওয়ার জন্য চালু নেই, সেগুলি ফের চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। লাইফ প্লাজা-র মাধ্যমে কোন গ্রাহকের কী ধরনের বিমা প্রকল্প কেনা উচিত, তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর কেরিয়ার এজেন্সি প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ ধরনের এজেন্ট নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy