কানাডার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে পেট্রোন্যাসের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল প্রকল্পে ১০% অংশীদারি কিনতে চলেছে ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি)। একই সঙ্গে, ওই প্রকল্প থেকে রফতানি হওয়া গ্যাসের প্রায় ১০% কিনে নেওয়ার জন্যও মালয়েশীয় বহুজাতিকটির সঙ্গে চুক্তি করেছে তারা।
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি) উৎপাদন ও নিয়ে যাওয়ার জন্য কানাডায় বিপুল অঙ্ক বিনিয়োগে টার্মিনাল গড়ছে পেট্রোন্যাস। যেখানে লগ্নির জন্য ইতিমধ্যেই জাপান পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এবং পেট্রোলিয়াম-ব্রুনেইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। সেখানকার তৃতীয় শরিক হিসেবে এ বার প্রকল্পে পা রাখতে চলেছে আইওসি।
কানাডার ওই প্রকল্প থেকে বছরে এক কোটি কুড়ি লক্ষ টন তরল গ্যাস উৎপাদিত ও রফতানি হওয়ার কথা। এর ১০% (১২ লক্ষ টন) কেনার জন্য চুক্তি করেছে আইওসি। ১,১০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে আইওসি-র লগ্নি কত, তা স্পষ্ট করেনি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। তবে এর জন্য ১০০ কোটি কানাডীয় ডলার ঢালতে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে বলেই একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে। উত্তর ব্রিটিশ কলম্বিয়ার শেল গ্যাসের যে ভাণ্ডার এলএনজি টার্মিনালটিতে গ্যাস জোগাবে, চুক্তির ফলে তার ১০% অংশীদারিও আসবে আইওসি-র হাতে।
এশিয়ার অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো ভারতেও গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে রকেট গতিতে। যা সামাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্যাস ভাণ্ডার ও প্রকল্পে অংশীদারি বা মালিকানা কেনার লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে এ দেশের তেল-গ্যাস সংস্থাগুলি। তার উপর কানাডার ওই উপকূল আবার গ্যাস পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত। যে কারণে ২০১২ সালে ৫২০ কানাডীয় ডলারে ওই দেশের প্রোগ্রেস এনার্জি রিসোর্সেসকে কেনে পেট্রোন্যাস। তাই এখানে আইওসি-র মতো সংস্থা প্রকল্পে সামিল হওয়ায় গ্যাস জোগানে সুবিধা হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। আইওসি-রও দাবি, তামিলনাড়ুর এন্নোরে বছরে ৫০ লক্ষ টন আমদানি ক্ষমতাসম্পন্ন যে এলএনজি টার্মিনাল গড়ার পরিকল্পনা তারা করেছে, সেই গ্যাসের একটা অংশ আসবে কানাডার প্রকল্প থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy